ডেস্ক নিউজ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে ব্রিটিশ পরিচয় দিলেও কাগজপত্র অনুযায়ী তাকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে মনে হচ্ছে এবং বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তাকে আদালতে মুখোমুখি হতে হবে।
সোমবার (১৬ জুন) দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। জানান, টিউলিপের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলমান এবং একটি তদন্তাধীন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে গুলশানের একটি প্লট অবৈধভাবে হস্তান্তরের মাধ্যমে ফ্ল্যাট নেওয়া, রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়ম এবং আয়কর রিটার্নে স্বর্ণের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর মতো অভিযোগ তদন্তাধীন।
চেয়ারম্যান বলেন, “যতই তিনি নিজেকে ব্রিটিশ বলেন, আমাদের কাগজপত্রে তাকে বাংলাদেশি মনে হচ্ছে। অবস্থাভেদে কখনো ব্রিটিশ, কখনো বাংলাদেশি পরিচয় দিচ্ছেন।”
টিউলিপকে দ্বিতীয় দফায় ২২ জুন হাজিরার জন্য তলব করা হয়েছে। এর আগে ১৪ মে তাকে প্রথম দফায় তলব করেছিল দুদক। তবে সেই তলবি চিঠি তিনি পাননি বলে দাবি করেছেন।
মোহাম্মদ আবদুল মোমেন প্রশ্ন তোলেন, “যদি তিনি নির্দোষ হয়ে থাকেন, তাহলে সিটি মিনিস্টারের পদ ছেড়েছেন কেন? আর নির্দোষ হলে তার আইনজীবী আমাদের কাছে চিঠি লিখলেন কেন?”
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি এবং সদ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন। তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনী।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, লন্ডনে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের ফ্ল্যাট তিনি ব্যবহার করেছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
টিউলিপের পাশাপাশি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমামের সম্পদ নিয়েও তদন্ত করছে দুদক। যুক্তরাজ্যে তাদের সম্পদ জব্দে সেখানকার ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ ফিরিয়ে আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া হলেও, তা সফল করতে দেশে ও বিদেশে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।