1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
শরীরের কত শতাংশ পুড়লে প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়? - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
১২ জেলায় দুপুরের মধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে ১২ কিলোমিটার হেঁটে ত্রাণ পাওয়ার পরেই গুলিবিদ্ধ: গাজায় ছোট্ট আমিরের করুণ মৃত্যু জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল: দরুদে সিক্ত হোক প্রতিটি মুহূর্ত একদিনে দুই সূর্যগ্রহণ: মহাকাশ থেকে নাসার চোখে বিরল দৃশ্য ভোটের ভিত্তিতে ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ গঠন চূড়ান্ত, বিএনপির আপত্তি বিশেষ পদ্ধতিতে “ইউনুস হটাও দেশ বাঁচাও” পোস্টার লাগানোর নির্দেশনা ছাত্রলীগের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স বেড়ে ২৩৬ কোটি ডলার, বৃদ্ধি ৩২ শতাংশ ৩৪ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার পুলিশি তাড়ায় শিবির নেতার মৃত্যু, এসআই রাকিবুল ক্লোজ দৌলতপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ

শরীরের কত শতাংশ পুড়লে প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়?

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
  • ২৯ জন খবরটি পড়েছেন

আগুনে পুড়ে যাওয়ার চিকিৎসায় একজন মানুষের শরীরের কত শতাংশ পুড়েছে, সেটি যেমন তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে, তেমনি কখনো কখনো শরীরের তুলনামূলক কম অংশ দগ্ধ হলেও বা দগ্ধ না হলেও মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।

আগুনের সাথে মানুষের এই ভয়ঙ্কর লড়াইয়ে বেঁচে থাকার সাধারণ হিসেব যেমন আছে, তেমনি আছে অদৃশ্য ঝুঁকির হিসেবও।

কত শতাংশ পুড়েছে কিভাবে বোঝা যায়?
শরীরের কতটা অংশ দগ্ধ হয়েছে, তা নির্ধারণ করা দ্রুত চিকিৎসা শুরু ও রোগীর জীবনরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেটা নির্ণয়ের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কিছু নিয়ম ও চার্ট চিকিৎসকেরা অনুসরণ করেন।

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. শরমিন আক্তার সুমি বলেন, “কত শতাংশ পুড়েছে, তা ক্যালকুলেট করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত হলো ‘রুল অব নাইন’। এই পদ্ধতিতে শরীরের বিভিন্ন অংশকে ৯% বা তার গুণিতক হিসেবে ভাগ করে মোট পুড়ে যাওয়া অংশের শতকরা হিসাব বের করা হয়।”

উদাহরণস্বরূপ, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একটি হাত (বাহু থেকে আঙুল পর্যন্ত) ধরা হয় ৯%, পায়ের সামনের অংশ ৯% এবং পেছনের অংশ ৯%। এভাবে যোগ করলে শরীরের সম্পূর্ণ অংশ ১০০% হিসেবে ধরা হয়।

তবে তিনি জানান, দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হলে এই ‘রুল অফ নাইন’ এর হিসাব উপকারী হলেও আরও নিখুঁত ও নির্ভুল ফলাফল পাওয়া যায় ‘লান্ড এন্ড ব্রাউডার’ ব্যবহার করলে।

“বার্ন ইন্সটিটিউট বা বিশেষায়িত বার্ন সেন্টারগুলোতে আমরা এই চার্ট ফলো করি। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুর জন্য আলাদা চিত্র দেয়া থাকে। রোগীর শরীরের কোথায় কতখানি দগ্ধ হয়েছে, তা এই ছবিতে নির্দিষ্ট করে আঁকা হয় এবং পাশের ছক অনুসারে তার শতকরা হিসাব নির্ধারণ করা হয়,” তিনি জানান।

এই চার্ট ব্যবহার করলে বয়সভেদে শরীরের বিভিন্ন অংশের গঠনে যেসব তারতম্য থাকে, সেগুলোও নির্ভুলভাবে বোঝা যায়। যেমন, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে পুরো মুখ পুড়লে সেটিকে ৪.৫% ধরা হয়, কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে মাথা তুলনামূলকভাবে বড় হওয়ায় মুখ ও মাথা পুড়লে সেই অংশ ৯% পর্যন্ত হতে পারে।

ডা. শরমিন আক্তার আরও বলেন, এছাড়াও ‘রুল অব থাম্ব’ নামে একটি পদ্ধতি আছে, যেখানে রোগীর হাতের তালুকে ১% ধরে পুড়ে যাওয়া অংশের আনুমানিক হিসাব করা হয়। যেসব পোড়ার অংশ ‘ইরেগুলার শেপড’ সেক্ষেত্রে এই নিয়ম ব্যবহার হয়। তবে সারা বিশ্বেই মূলত ‘রুল অফ নাইন’ ও ‘লান্ড ব্রাউডার চার্ট’—এই দুটি পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

কত শতাংশ পুড়লে জীবনহানির শঙ্কা হয়?

দগ্ধতার মাত্রা ও এর পরিণতি নির্ভর করে শুধু শরীরের কত অংশ পুড়েছে তার ওপর নয়, রোগীর বয়স, শারীরিক অবস্থা, বিদ্যমান রোগ এবং পোড়ার ধরন—সবকিছু মিলিয়ে নির্ধারিত হয় রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা।

ডা. শরমিন আক্তার সুমি জানান, কিছু বিষয়ে মোটা দাগে ধারণা দেয়া গেলেও, সব ক্ষেত্রে একক রূপরেখা টানা যায় না।

তার ভাষায়, “যদি সবকিছু স্বাভাবিক থাকে, যেমন রোগী তরুণ ও আগে থেকে কোনো জটিলতা না থাকে, তাহলে ১৫% পর্যন্ত বার্ন সাধারণত নিরাময়যোগ্য ধরা হয়।”

”১৫% থেকে ৩০% বার্ন হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। এই সময়টা অত্যন্ত সংবেদনশীল। কিন্তু ৩০%-এর বেশি হলে পরিস্থিতি ক্রিটিক্যাল হয়ে ওঠে। ৩০% থেকে ৫০% বার্ন হওয়া রোগীদের বাঁচাতে যথেষ্ট প্রচেষ্টা, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মনোযোগ লাগে,” তিনি বলেন।

তিনি বলেন, “৫০% এর ওপরে বার্ন হলে সেটি ‘ক্রিটিক্যাল’ ক্যাটাগরিতে পড়ে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিসংখ্যান বলছে, ৭০-৭৫% এর বেশি বার্ন হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।”

তবে এগুলো মোটামুটি সাধারণ চিত্র হলেও কিছু ব্যতিক্রম সব সময়ই থাকে। অনেক সময় মাত্র ৫% বার্ন হলেও রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

ডা. শরমিন আক্তার বলেন, “খুব ছোট শিশু, প্রবীণ ব্যক্তি কিংবা আগে থেকে ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, প্রেগন্যান্সি বা কোমরবিড কন্ডিশনে আছেন, (কারো একাধিক জটিল রোগ যেমন ডায়াবেটিসের সাথে হাই ব্লাডপ্রেসার বা অন্য রোগ থাকলে) বাঁ অন্য কোনো শারীরিক জটিলতা থাকলে সেই রোগীদের জন্য সামান্য বার্নও মারাত্মক ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।”

তাই দগ্ধ রোগীর চিকিৎসা নির্ভর করে ব্যক্তিভেদে তার শারীরিক অবস্থা, বয়স, পোড়ার ধরন এবং বিস্তৃতির ওপর। সব মিলিয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরু ও সঠিক পর্যবেক্ষণই পারে জীবন বাঁচাতে।

শরীরের বড় অংশ না পুড়লেও বা অনেক কম পুড়লেও অনেক সময় রোগীর মৃত্যু হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, শুধু শতকরা হিসাব দেখে রোগীর সুস্থতার সম্ভাবনা নির্ধারণ করা সবসময় সম্ভব নয়।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews