ডেস্ক নিউজ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সাম্প্রতিক এক ঘটনায় কবর থেকে মরদেহ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ভয়াবহ ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছে দেশকে। স্থানীয়ভাবে ‘নুরা পাগলা’ নামে পরিচিত নুরুল হক নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবি করতেন। তাঁর মৃত্যু ও দাফনের পর চারপাশে সৃষ্টি হয় তীব্র উত্তেজনা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জুড়ান মোল্লাপাড়ার দরবার শরিফ এলাকায় নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা উঁচু করে বানানো হয় এবং কাবা শরিফের আদল দেওয়া হয়। বিষয়টি তৌহিদি জনতার মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা জনতা দরবারে হামলা চালায়, মরদেহ কবর থেকে তুলে এনে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
এ সময় দরবার শরিফ ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নুরুল হকের অনুসারী ও ভক্তসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই ঘটনাকে ‘অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এটি দেশের মূল্যবোধ, আইন ও সামাজিক সভ্যতার ওপর সরাসরি আঘাত। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, দোষীদের কেউই দায়মুক্তি পাবে না এবং দ্রুত কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকার জনগণকে সহিংসতা ও ঘৃণা বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে এবং মরদেহের মর্যাদা রক্ষায় সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।