রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে তীব্র ব্যথা ও চলাফেরায় সমস্যার সৃষ্টি হয়, যা মূলত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানান, অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে অতিরিক্ত প্রোটিন খান, যা ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
চিকিৎসকদের মতে, এ ধরনের সমস্যা এড়াতে সবচেয়ে জরুরি খাদ্য নিয়ন্ত্রণ। তারা বলেন, ভাত-রুটি পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে এবং রান্নায় তেল-মশলা কম ব্যবহার করা উচিত। পাশাপাশি ফল, শাকসবজি, পিনাট বাটার বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন তারা। তবে টমেটো ও পেঁয়াজ রান্না করে খাওয়া নিরাপদ হলেও কাঁচা অবস্থায় এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রোটিন গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। উদাহরণস্বরূপ, ৬০ কেজি ওজনের একজন মানুষের দৈনিক প্রোটিন গ্রহণের সীমা ৬০ গ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। দুধ খেতে হবে ফ্যাট ফ্রি এবং দুধ-চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি বা গ্রিন টি খাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মাটন, বিফ ও চিংড়ি খাওয়ার পরিবর্তে চিকেন বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলা, লেবু ও আঙুর খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। ডাল, রাজমা ও সয়াবিন বাদ দিতে হবে।
শারীরিক যত্নের পাশাপাশি রাতে ঘুমানোর আগে আপেল সিডার ভিনেগার পান করা এবং পায়ের নিচে বালিশ রেখে ঘুমানো ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ব্যথা তীব্র হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।