ডেস্ক রিপোর্ট।। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে ঢাকার রাজপথ। এক লাফে পেট্রোপণ্যের এতটা দাম বাড়ানোর কারণে বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রতিবাদ, বিক্ষোভের আঁচ
জীবন ও কর্ম বিলাল হোসেন মাহিনী।। বহুমাত্রিক জ্ঞানের অধিকারী, ইসলামি স্কলার ড. মুহাম্মদ শফিকুল্লাহ্। বাংলাদেশে ইসলামি শিক্ষার ইতিহাসে যে সকল
বিলাল মাহিনী বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারির মহাবিপর্যয় এখনো পুরোপুরি কাটেনি। গত দু’বছর স্বাস্থ্যঝুকি ও নানা বিধি-নিষেধের কারণে আকিজ আইডিয়াল স্কুল এন্ড
বিলাল হোসেন মাহিনী শুধু চোখে দেখলে বা শুনতে পারলে হলো যে, শিক্ষক আসছেন। সাথে সাথে সাইকেল বা গাড়ি থেকে নেমে
পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষা মানে নিজেকে রক্ষা করা বিলাল হোসেন মাহিনী।। বৃক্ষ রোপনে পিছিয়ে থাকলেও কর্তনে এগিয়ে বাংলাদেশ। সরকারিভাবে বৃক্ষরোপনের
ডেস্ক রিপোর্ট।। প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতুর নাম ‘ দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ করার পাশাপাশি শুরুতেই
বিলাল হোসেন মাহিনী।। ব্যবাসায়ীদের হাতে জিম্মি দেশ ! এদিকে চিড়েচ্যপ্টা সাধারণ মানুষ। অর্থই যেন একমাত্র লক্ষ্য। তবে প্রবাদে আছে ‘অর্থই
বিলাল মাহিনী আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। সব চাওয়া-পাওয়া, আশা-নিরাশা পেছনে ফেলে ১৪২৮ সাল কালের স্রোতে লীন হয়েছে। ১৪২৯ সালের শুভাগমনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রভাতের সূচনা হলো। বাংলা নববর্ষকে আমরা স্বাগত জানাই। এটা আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অচ্ছেদ্য অংশ। বলা বাহুল্য, বাংলা সন ও নববর্ষ উদযাপন মূলত মুসলিম ঐতিহ্যজাত এবং মুসলিম শাসকরাই তা প্রবর্তন করেন। বাংলা সনের সঙ্গে বাংলার শাসনব্যবস্থার সংস্কারে মুসলমান শাসকদের ঐতিহাসিক অবদান রয়েছে। তবে প্রশ্ন হলো, বর্তমানে মুসলিমদের একটা বিরাট অংশ কেনো নববর্ষের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র বিরুদ্ধে? আজ সকালে মোবাইলে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র লাইভ দেখছিলাম। সেখানে কমেন্ট বক্সে এই শোভাযাত্রাকে যাচ্ছে না তাই ভাষায় কটুক্তি করা হচ্ছে। কিন্তু কেনো? ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন শিরোনাম ছিলো, ‘ঢাকার পয়লা যেন অষ্টমীর একডালিয়া’। বাঙালির বর্ষবরণ কেনো কোনো ধর্মের সাথে তুলনীয় হবে? নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিজেই নেমে পড়লাম গুগলসহ বিভিন্ন মিডিয়া থেকে তথ্য উদঘাটনে। এখন আপনাদের সামনে উক্ত তথ্যগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি মাত্র। উল্লেখ্য, উইকিপিডিয়া, বিবিসি, ব্লগসহ সব মিডিয়ার তথ্যসূত্র তথা লিংক নিচে দেয়া আছে। যতদিন যাচ্ছে তত পহেলা বৈশাখ তথা বর্ষবরণে এমন কিছু রেওয়াজজুড়ে যাচ্ছে যা মুসলমানের মূল স্প্রিটের সঙ্গে যায় না বলে দাবি করছেন আলেম-ওলামা ও আমলী মুসলিমগণ। প্রশ্ন উঠতে পারে, প্রায় ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান কেন ইসলামের স্প্রিটের বিরোধী হবে। এর জবাব খুঁজতে হলে পহেলা বৈশাখের উৎপত্তি, বাংলার গ্রামীণ সমাজে প্রাচীনকাল থেকে বর্ষবরণের দিকে নজর দিতে হবে।কেনো পহেলা বৈশাখকে আমরা মুসলমানের উৎসব বলব, আর বর্তমানে মুসলিম রীতি ও মুসলিম সভ্যতা-সংস্কৃতি বাদ দিয়ে কেনো অমুসলিম কালচার বর্ষবরণে স্থান পাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবো- প্রথমত, বাংলা সন গণনার আদেশদাতা মুসলমান, নিয়মনীতি যিনি ঠিক করেছেন তিনিও একজন মুসলমান, এমনকি নবী (সা.)-এর হিজরতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হিজরি বছরকে মূল ধরে তৈরি করা হয়েছে বাংলা পঞ্জিকা বর্ষ। বঙ্গ, আসাম তথা প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মণিপুর ইত্যাদি অঞ্চলে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিক প্রচলন ছিল। কৃষি কাজ, ফসল তোলা, বাণিজ্যিক লেনদেন, হালখাতা ইত্যাদিকেন্দ্রিক ছিল সে অনুষ্ঠানগুলো।ভারতে মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠার পর শাসকরা খাজনা ইত্যাদি হিজরি তারিখ অনুযায়ীই তুলতেন। দিল্লী সালতানাতের সময়ে হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করা হলেও কৃষিভিত্তিক সমাজ বাস্তবতায় হিজরি বর্ষপঞ্জিতে কর আদায়ের ক্ষেত্রে কিছু অসামঞ্জস্য দেখা দেয়ায় একটি নতুন সনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।এই প্রেক্ষাপটে ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট আকবর হিজরি সনের ভিত্তিতে বাংলা বর্ষপঞ্জি প্রবর্তনের নির্দেশ দেন।মুঘল রাজদরবারের দার্শনিক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহ্উল্লাহ সিরাজী হিজরি সন ও সৌর সনের সমন্বয় করে বাংলা সন প্রবর্তন করেন।মুঘল আমলে প্রবর্তিত বাংলা বর্ষপঞ্জিতেও কিছু সমস্যা দেখা দেয়ায় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা বর্ষপঞ্জিতে কিছু সংস্কার আনেন। তার সংস্কার অনুসারে এখন প্রতিবছর ১৪ এপ্রিলে বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসব হয়ে থাকে। আমাদের রয়েছে একটি নিজস্ব ক্যালেন্ডার, যা জাতি হিসেবে আমাদের সমৃদ্ধ ও গর্বিত করেছে।এ কারণেই আমাদের জাতীয় জীবনে বাংলা নববর্ষের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় স¤্রাট আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে “বঙ্গাব্দ” বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়। শামসুজ্জামান খানের মতে, বাংলার মুঘল সুবাদার মুর্শিদ কুলি খান প্রথম পুন্যাহ এর রীতি শুরু করেন, যার অর্থ হচ্ছে “ভূমি রাজস্ব আদায়ের উৎসবের দিন”, এবং তিনি বাংলা দিনপঞ্জির সূচনা করার জন্য আকবরের রাজস্বের নীতি ব্যবহার করেন। শামসুজ্জামান খান ও নীতিশ সেনগুপ্তের মতে বাংলা দিনপঞ্জির উদ্ভব পরিষ্কার নয়।শামসুজ্জামান এর মতে, “একে বাংলা সন বা সাল বলা হত, যা যথাক্রমে আরবি ও ফারসি শব্দ। এটা নির্দেশ করছে যে এই এটি প্রথম কোন মুসলিম রাজা বা সুলতানের দ্বারা প্রচলিত হয়েছে।” অন্যদিকে সেনগুপ্তের মতে, এর ঐতিহ্যগত নাম হচ্ছে বঙ্গাব্দ । মঙ্গল শোভাযাত্রা কি? কিভাবে প্রবর্তন হলো : ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে চারুপীঠ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। যশোরের সেই শোভাযাত্রায় ছিল – পাপেট, বাঘের প্রতিকৃতি, পুরানো বাদ্যযন্ত্রসহ আরো অনেক শিল্পকর্ম। শুরুর বছরেই যশোরে শোভাযাত্রা আলোড়ন তৈরি করে। পরবর্তীতে যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকার চারুকলা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। ১৯৮৯ সালে প্রথম ঢাবি’র চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে নববর্ষ উপলক্ষে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হয়। পরবর্তীতে তা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে প্রচলিত হয়। ঢাকার বৈশাখী উৎসবের একটি আবশ্যিক অঙ্গ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখের সকালে এই শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়।এই শোভাযাত্রায় গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। শোভাযাত্রায় সকল শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে,শোভাযাত্রার জন্য বানানো হয় বিভিন্ন রঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি।জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এখন প্রশ্ন হলো, ১৯৮৯ সালের আনন্দ শোভাযাত্রা’ কেনো
।। লক্ষ্মণ চন্দ্র মন্ডল।। ষাটোর্ধ সবার পেনশনের ব্যাবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ । এই খবরটি দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে ব্যাপক আশার
বিলাল মাহিনীমাতৃভাষায় কথা বলা যেমন মানুষের জন্মগত অধিকার তেমনি ভাষার মান-মর্যাদা রক্ষা করাও প্রত্যের নাগরিকের কর্তব্য। মায়ের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা