1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
মোংলায় ৪০ দিনের কর্মসূচীতে নানা অনিয়ম, টাকা লোপাট - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাত্র ১০ ব্যাংকে জমেছে দেশের ৭১% খেলাপি ঋণ ট্রাম্পের পরিকল্পনা স্থগিত, তবুও ২৪ ঘণ্টায় মার্কিন পদক্ষেপের সম্ভাবনা ট্রাম্প বললেন ‘হামলা করতেও পারি’, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি আগামী পাঁচ দিন টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, কিছু এলাকায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাস ৬,৫৫৮ জন, সামনে ভাইভা মাত্র ১৫ মিনিটেই শেষ, ৪৯৫ রানে থামলো বাংলাদেশের ইনিংস বাবার সালিশের প্রতিশোধে প্রাণ গেল শিশু হোসেইনের খালেদা জিয়া হাসপাতালে, শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল চরবাসীর প্রতিদিন কাটে টিকে থাকার লড়াইয়ে ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত স্পষ্ট?

মোংলায় ৪০ দিনের কর্মসূচীতে নানা অনিয়ম, টাকা লোপাট

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২১৩ জন খবরটি পড়েছেন

মোংলা প্রতিনিধি।।

মোংলায় সরকারের অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর (৪০ দিনের কর্মসূচী) টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে । এমনকি অতি দরিদ্র শ্রমিকদের কাজের তালিকায় তার আপন ভাইয়ের নাম দিয়েও টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ

কর্মহীন মৌসুমে দুস্থ পরিবারের স্বল্প মেয়াদী কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্ধেকের বেশি টাকা শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎতের বিচার চেয়েছেন এলাকাবাসী। আর এসব বিষয়ে বুধবার সরেজমিনে তদন্তে গেলে সংশ্লিষ্ট কাজের ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহান আহম্মেদকে চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডলের ভাই কংকন কুমার মন্ডল লাঞ্চিত করেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সোহান আহম্মেদ বলেন, মিঠাখালী ইউনিয়নের বসির খন্ড, খানজাহান আলী বাজার ও খড়খড়িয়া এলাকায় ৪০ দিনের কর্মসূচীর কাজের চরম অনিয়ম পেয়েছেন তিনি। বসির খন্ডে ৩৩ জন শ্রমিক থাকার কথা থাকলেও ছিলেন ২৩ জন। খানজাহান আলী বাজার এলাকায় ছিলেন ২৬ জন। অথচ থাকার কথা ২৭ জন এবং খড়খড়িয়া এলাকায় ৩৯ জনের জায়গায় ৩৩ জন শ্রমিক উপস্থিত পান। ঘটনাস্থলে কম শ্রমিক থাকায় শতভাগ উপস্থিত দেখানো হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করায় বসির খন্ড এলাকায় কাজের শ্রমিকের তালিকায় নাম থাকা চেয়রম্যানের ভাই কংকন মন্ডল তাকে লাঞ্ছিত করেছেন।

এছাড়া ওই তিন এলাকায় ঠিকমত শ্রমিকেরা কাজও করেননি। অধিকাংশ শ্রমিকের পরনে ছিল জিন্স প্যান্ট ও পায়ে ছিল চামড়ার জুতা পরা। আর ৪০ দিনের কর্মসূচীর মাটি রাস্তার পাশে না দিয়ে চেয়ারম্যান উৎপল মন্ডল তার বাড়ীর সীমান প্রাচীর মজবুত করতে সেখানে দিয়েছেন। এমন গুরুতর অভিযোগেরও প্রমাণ সরেজমিনে পেয়েছেন বলেও জানান প্রকৌশলী সোহান আহম্মেদ। এ বিষয়ে মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল সবকিছু অস্বীকার করে বলেন, নিউজ করে দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার ট্যাগ অফিসার সোহান আহম্মেদকে লাঞ্চিত করার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ওই ঘটনায় চেয়রম্যানের ভাই কংকন মন্ডল বুধবার সোহান আহম্মেদের অফিস কক্ষে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছেন। এ সময় তার ভাই চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

৪০ দিনের কর্মসূচী কাজের সকল শ্রমিক উপস্থিত না থাকা, তালিকায় চেয়ারম্যানের ভাইয়ের নাম থাকা ও কর্মসূচীর মাটি তার সামীনা প্রাচীরে দেয়ার বিষয়ে লোক পাঠিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ইউএনও। তিনি আরো বলেন, এনিয়ে কোন ছাড় দেয়া হবেনা, অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা বলেন, আমি নতুন এসেছি, সকলকে চিনি না। তালিকায় চেয়ারম্যানের ভাইয়ের নাম রয়েছে জানতে পেরে চেয়ারম্যানকে বলেছি কেন এমন করেছেন তিনি। আর ট্যাগ অফিসারকে তার ভাই লাঞ্ছিত করেছে এটাও সত্য। শুনেছি তার বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের নিচেও কর্মসূচীর মাটি দিয়েছেন। এসব দৃষ্টিকটু দেখায় যা চেয়ারম্যান হিসেবে করা ঠিক না। তাই এসব শুনে বাকী কাজ যাতে ঠিকমত হয় সেজন্য ইউএনও স্যার ও আমি চেয়ারম্যানকে চাপে রেখেছি।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews