কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক মণ্ডলকে (৫০) গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এঘটনায় নিহত সিদ্দিকের আপন আরো তিনভাই ইউনুস মণ্ডল, খালেক মণ্ডল ও বাদশা মণ্ডল গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চড়পাড়া গ্রামে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা চাঁদগ্রামের ওম্বর মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, সকালে নিহত সিদ্দিকের ভাই বাদশা মণ্ডল পার্শ্ববর্তী চড়পাড়া মাঠে জমিতে কাজ করছিলো। এসময় প্রতিপক্ষ মালিথা গ্রুপের লোকজন এসে বাদশা মণ্ডলের উপর হামলা চালিয়ে তার এক পায়ের রগ কেটে দেয়। খবর পেয়ে বাদশাকে উদ্ধার করতে তার ভাই সিদ্দিক মণ্ডল, খালেক মণ্ডল ও ইউনুস মণ্ডলসহ বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিপক্ষরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধসহ আহতদের উদ্ধার করে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিদ্দিক মণ্ডলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভেড়ামারা থানার ওসি মজিবুর রহমান এই হতাহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে চাঁদগ্রাম ইউনিয়নে মণ্ডল গ্রুপ ও মালিথা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো।
ধারণা করা হচ্ছে পুর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘাতকদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত সিদ্দিকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় ওসি।
ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমুল ইসলাম ছানা বলেন, চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক মণ্ডল ছিলো আওয়ামী লীগের একনিষ্ট কর্মী। সিদ্দিককে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান এই নেতা।
চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন জানান, এলাকার মন্ডলগ্রুপ ও মালিথা গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের দাবির পাশাপাশি এই ঘটনার জেরে আর যাতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।