বাঘারপাড়া প্রতিনিধি।।
যশোরের বাঘারপাড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে বালিশ চাঁপায় স্বামী লাল্টু মন্ডল( ২৫ ) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । এ অভিযোগে স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন(১৯ ) কে আটক করা হয়েছে। সোমবার(২৮ মার্চ ) গভীর রাতে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত লাল্টু মন্ডল উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের ফসিয়ার মন্ডল এর ছেলে ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের ফসিয়ার মন্ডল এর ছেলে লাল্টু মন্ডলের সাথে মাত্র ৮ মাস আগে যশোর সদর উপজেলার কিফাতনগর গ্রামের ইউনুছ মোল্যার মেয়ে সুরাইয়া খাতুন(১৯) এর বিয়ে হয়। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ২ টার দিকে তার স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন কৌশলে ঘুমন্ত স্বামী কে বালিশ চাঁপা দিয়ে হত্যা করে মরদেহ মেঝেতে ফেলে রেখে স্বাভাবিক ভাবে তার শ্বাশুড়িকে ডেকে বলে আপনার ছেলে গলায় রশি দিয়ে আত্যহত্যা করেছে।
ছেলে বৌ এর মুখে একথা শুনে লালটুু মন্ডলের মার চিৎকার করে ওঠেন। গভীর রাতে মায়ের চিৎকার শুনে বড় ভাই মনিরুজ্জামান মিন্টু ঘর থেকে ছুটে এসে মাকে নিয়ে লালটুুর রুমের মধ্যে ঢুকে লাল্টুর নিথর দেহ রুমের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। বড়ভাই দ্রুত ভাইয়ের লালটুর নিথর দেহ নিয়ে স্থানীয় ডাক্তারের নিকট নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ লালটুুর স্ত্রীকে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘুমন্ত অবস্থায় বালিশ চাঁপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান ওরফে মিন্টু বাদী হয়ে বাঘারপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আওয়াল জানান , স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন কে আটক করে আদলতে পাঠানো হয়েছে।লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোরের মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানান, লাল্টু যশোর বিমান বাহিনীর ব্যাটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। গহনা সংক্রান্ত বিষয়ে সম্প্রতি স্ত্রীর সাতে তার ঝগড়া হয়। লাল্টু সেই সময় স্ত্রীকে মারপিটও করেন। তারই জের ধরে গেলরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় লাল্টুকে তার স্ত্রী বালিশ চাপা ও গলায় রশি দিয়ে আটকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে সুরাইয়া পুলিশকে জানিয়েছেন।