বাঘারপাড়া প্রতিনিধি।।
মোবাইলে পরিচয় সূত্রে প্রেম । অতঃপর প্রেমিকের টানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে প্রেমিক আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে ওঠেন বিথী।
এরপরে গত ১৪ এপ্রিল বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকূলা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহর ( ১৮ )সাথে বীথির বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র সাত দিনের মাথায় নববঁধু বিথীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকূলা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২০ এপ্রিল) মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত বিথী আক্তার (১৯) যশোর সদরের বাহাদুরপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বিথীর। ১৪ এপ্রিল বিথী পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আব্দুল্লাহর বাড়িতে ওঠেন। সেখানে আব্দুল্লাহর পরিবারের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। পরে বিয়ের বিষয়টি তার পরিবারকে জানান বিথী।
মঙ্গলবার রাতে সেহরি খাওয়ার সময় উঠে আব্দুল্লাহ স্ত্রীকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে খুঁজতে শুরু করেন। পরে পাশের ঘরে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।
বিথীর চাচা বাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামীর পরিবারের লোকজন। বিথীর মরদেহ দেখলে স্পষ্ট সেটা বোঝা যাচ্ছে। গলায় ফাঁস দিলে দাগ থাকবে। ‘ এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাঘারপাড়া থানা ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানিয়েছেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি জানা যাবে। এ ঘটনায় আপাতত অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’