এ আর রাকিবুল হাসান, কুড়িগ্রাম।।
লাশ দাফনের ৮ দিন পর কবর থেকে তোলা হলো সীমার লাশ। ২৯ এপ্রিল শুক্রবার বেলা বারোটার দিকে কবর থেকে তোলা হয় সীমার মরদেহ। গত ২০ এপ্রিল বুধবার আপন ভাই জুয়েল কর্তৃক বোন সীমাকে হত্যার বিষয়ে জানা গেলেও অজ্ঞাত কারণে লাশ স্বাভাবিক মৃত হিসেবে কবরস্থ করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় মোবাইল ও নিজেদের মধ্যে ধার দেনার পাওনা টাকা চাওয়া কে কেন্দ্র করে ৮ দিন পূর্বে ২০ এপ্রিল ভাই-বোনের সংঘর্ষে আপন ভাই জুয়েল (২২) কর্তৃক ছোট বোন সীমা(১৪) কে হত্যা করা হয় বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় ।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত ২০ এপ্রিল বুধবার কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ তিলাইয়ের খোঁচাবাড়ি গ্রামের আব্দুল হামিদ এর পুত্র জুয়েল (২২) তার আপন ছোট বোন সীমা (১৪) র সাথে মোবাইলে ছবি দেখাকে কেন্দ্র করে ও বিভিন্ন সময়ে ছোট বোন সীমার ধার দেয়া টাকা ভাই জুয়েলের কাছে চাওয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়, এর একপর্যায়ে মারামারি থেকে হত্যার ঘটনা ঘটে ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হত্যার আগের দিন তার বোনকে বিয়ের উদ্দেশ্যে লোকজন দেখতেও এসেছিল। কিন্তু সেদিন তাদের মধ্যে কী কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটে তা কেউ বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
ঘটনার পর সেটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে তাকে কবরস্থ করা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনার কয়েকদিন পর মেয়ের ভাইকে গ্রেফতার করা হয়, আজকে লাশ উঠিয়ে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।