ফরিদপুর প্রতিনিধি।।
ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সিরাজুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় অন্তত অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে হামলাকারিরা।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত সিরাজুল ইসলাম খারদিয়া ঠাকুরপাড়া এলাকার ইশারত মোল্যার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যার সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে রফিক মোল্যার সমর্থকদের সাথে আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের সংঘর্ষে বাধে। সংঘর্ষের সময় অন্তত অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে সংঘর্ষকারীরা।
এ সময় আলমগীর মিয়ার সমর্থক সিরাজুল ইসলামসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহত সিরাজুল ইসলামকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি আহতদের ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) সুমিনুর রহমান নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিক মোল্যা ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিরাজুল ইসলাম নামে একজন নিহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এলাকা শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।