1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
মির্জাগঞ্জে টিআর কাবিখা, কাবিটা প্রকল্পের ব্যাপক অনিয়ম - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাগুরায় শিশু ধর্ষনে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিলো ক্ষুব্ধ জনতা কালীগঞ্জে পরিষদে ৩ যুবককে পেটানো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বাঘারপাড়ায় বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বিচার শুরুর আগেই না ফেরার দেশে মাগুরায় ধর্ষিতা সেই শিশুটি চট্টগ্রামে বাস চাপায় অটোরিকশার ভাই-বোনসহ তিনজন নিহত মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টার গভীর প্রকাশ মাগুরার নির্যাতিত শিশুটি আর নেই আড়াইহাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের ১৪ হাজার কোটি টাকার লেনদেন, দুদকের মামলা স্পর্শিয়ার প্রেমে পড়েছেন এক সাথে দুই ভাই !

মির্জাগঞ্জে টিআর কাবিখা, কাবিটা প্রকল্পের ব্যাপক অনিয়ম

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১১ মে, ২০২২
  • ৩৭৭ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি-বিডিটেলিগ্রাফ

কাগজে-কলমে প্রতিটি প্রকল্পে শতভাগ কাজ দেখিয়ে তুলে নেয়া হচ্ছে বরাদ্ধকৃত টাকা

ইলিয়াস হোসাইন।।

মির্জাগঞ্জে টেস্ট রিলিফ (টিআর), কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের কাজ নিয়ে চলছে হরিলুট। কোথাও অর্ধেক বা সিকিভাগ এবং কোথাও কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রকল্পের সঙ্গে সংশিষ্টরা। প্রকল্পের কাজে তদারকির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারাও এই অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৪ কিস্তিতে টিআরের ৬৪টি প্রকল্পের আওতায় ৫২ লাখ ১৪ হাজার ৯৬০ টাকা ও কাবিটার ২৪টি প্রকল্পে ৬৪ লাখ ১৯ হাজার ১৭০ টাকা বরাদ্দ পায়। স্থানীয় এমপির অনুক‚লে টিআরের ৪৩টি প্রকল্পের আওতায় ৭৫ লাখ ৮২ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং অপর ৩টি টিআর প্রকল্পের আওতায় ৪টি প্রকল্পে ৪৬টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও কাবিটা ১১টি প্রকল্পের আওতায় ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যার বেশিরভাগ প্রকল্পে নামমাত্র কাজ হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্ব থেকে আফজাল খলিফার বাড়ি হয়ে আযম খানের সমিল পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও সিটেফোঁটা মাটিও ফেলা হয়নি রাস্তায়। কিসমতপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা কোনো কাজ না করেই আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক। বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশ হতে নিজাম মাস্টারে বাড়ির রাস্তা নির্মাণে ২ লাখ ৭৮ হাজার টাকার প্রকল্পে নামেমাত্র বালু ফেলে রাখা হয়েছে।

পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে বটতলা পাকা সড়ক হতে সামসু ডুবুরির বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্ব পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ হলেও ইটের সোলিং নির্মাণ করা হয়নি, মানসুরাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা সংস্কার ও আববাবপত্র ক্রয়ে ২টি প্রকল্পের অনুকুলে বরাদ্দকৃত ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিষয়ে কিছুই জানেন না মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। আমড়াগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংস্কার বাবদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রকল্প সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক জানেন না কবে এ প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সুবিদখালী শহীদ আবদুল কাদের জোমাদ্দার সড়কে আল-মদিনা জামে মসজিদে মাঠ ভরাটের ৫ লাখ টাকার প্রকল্পে নামেমাত্র কাজ করানো হয়েছে। এভাবেই কাগজে-কলমে প্রতিটি প্রকল্পে শতভাগ কাজ দেখিয়ে সংশিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর কোনো কোনো প্রকল্পে কাজই হয়নি এবং স্থানীয়রা এ বিষয়ে জানেন না। দুই-একটিতে নামেমাত্র কাজ করে সমুদয় টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার বলেন, আমি এখন সাবেক হয়েছি। নতুন চেয়ারম্যানরাই ভালো বলতে পারবেন। কিসমতপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোনো কাজ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ কিছু হয়েছে। মানসুরাবাদ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বলেন, মাদ্রাসার এতিমখানার কাজ চলছে। তবে মাদ্রাসার কোনো সংস্কার বা মেরামত কিংবা আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়নি।

আমড়াগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পটুয়াখালী সদর উপজেলার মির্জাগঞ্জে তৎকালীন দায়িত্বরত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রকল্পে কোনো অভিযোগ নেই, সঠিকভাবে কাজ করানো হয়েছে। যে প্রকল্প চলে গেছে তা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে কোনো লাভ আছে? তবে প্রকল্পগুলোতে কিছু কিছু কাজ হয়েছে।

সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) খোকন দাস বলেন, এখানে আমি নতুন এসেছি। আমি কিছু বলতে পারবো না। এর আগে যে স্যার ছিলেন তিনি বলতে পারবেন প্রকল্পগুলোর বিষয়ে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস জানান, কোনো প্রকল্পের বিষয়ে অভিযোগ থাকলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews