ডেস্ক রিপোর্ট।।
পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ আনলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন ‘আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবোই। ’ কানাডার একটি আদালতে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ আনলে তা মিথ্যে প্রমাণিত হয়। বাংলাদেশের মুষ্টিমেয় কিছু লোক দেশ বিরোধী ষডযন্ত্র করে দুর্নীতির অভিযোগ ছড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা তা দৃঢতার সঙ্গে মোকাবেলা করেন এবং সত্য প্রতিষ্টা করেন।
‘পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বাক্ষর বহন করে। তাঁর শাসনামলে বিশ্ববাসী আবারও বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ জানার সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেটি বিশ্বকে বারবার তার সক্ষমতা দেখিয়েছে’।
ড. মালিকা বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা শুরু হলেও পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলেছে। শেখ হাসিনার অদম্য ইচ্ছা শক্তির কারণে সেতু নির্মাণের কাজ একদিনের জন্য ও বন্ধ হয়নি। পাকিস্তানের গণমাধ্যম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মডেলের প্রসংশা করে চমৎকার নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানি গণমাধ্যম বাংলাদেশ এবং তার অর্থনৈতিক সাফল্যের ব্যাপক প্রশংসা করেছে।
বিশ্বব্যাংক ও দাতা সংস্থাগুলো অর্থায়নে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এক সময় পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রায়ই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তখন সমালোচকরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মনোভাব প্রকাশ করেছিল। এসব ষড়যন্ত্রকারী গুজব ছড়াতে লাগল পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে। সবকিছুকেই মিথ্যে প্রমাণিত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মাণ করেছেন। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কথা রয়েছে। ঐ দিন একই সময়ে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রজেক্টরের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে, তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকার হাতির ঝিলে ‘লেজার শো’সহ সারা দেশে একই ধরনের কর্মসূচি থাকবে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সব পক্ষ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরাসহ এমনকি বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা ও উপস্থিত থাকবেন। সূত্র – বাসস