নিজস্ব প্রতিনিধি।।
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে একই পরিবারের ৫ সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও এসিড মেরে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় উপজেলার খড়মী জমির আলী গাজীর ছেলে আমির আলী গাজী (৪৭) বাদি হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন- খড়মী এলাকার ছবেদ আলীর ছেলে আমজেদ আলী গাজী (২৯), তার ভাই সালাউদ্দীন গাজী (২৬), একই এলাকার আহাদ আলীর ছেলে হযরত আলী গাজী (৩১), আশিকুড়া গ্রামের জহুর আলীর ছেলে মজিদ আলী গাজী (৩৬), খড়মী গ্রামের মৃত হামিজদ্দীন গাইনের ছেলে আক্তার গাইন (৪৬), হরিখালি গ্রামের মৃত হামিজদ্দীনের ছেলে আজগর গাইন (৫০), তার ভাই মোশারফ গাইন (৩৪), মৌখালি গ্রামের মৃত হামিজদ্দীনের ছেলে আশরাফ গাইন (৪২), আশিকুড়া গ্রামের মৃত মোমরেজ গাজীর ছেলে জহুর আলী গাজী (৬৪), খমড়ী গ্রামের মৃত মোমরেজ গাজীর ছেলে আহাদ আলী গাজী (৬০), মৌখালির গ্রামের আশরাফ গাইনের ছেলে আল-আমিন গাইন (২১), গোলখালি গ্রামের আনোয়ার গাইনের ছেলে শফিকুল ইসলাম গাজী (৩২) তার ভাই রফিকুল ইসলাম (২৬), শীতলপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৫৮), শ্যামনগরের দুরমুজখালীর মানিক বেবলের ছেলে ধর্ম বেবলে (২৮) সহ ৭/৮ জনকে অজ্ঞত করে এ আসামী করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার আশিকুড়া মৌজাস্থ ১৩৬ নং জে,এল এর অধীনে ৩৯ নং খতিয়ানে ৩৮ দাগে ১.৬৬ জমিতে আমার পিতা জমির আলী গাজীর নামে ২৬৪৪ নং কোবলা দলিল মূলে খরিদ ও ভোগদখলী জমি। ওই জমিতে আক্তার গাইন, আজগর গাইন, মোশারফ গাইন, আশরাফ গাইন মৃত হামিজউদ্দীন গাইনের নিকট তেকে হারি নিয়ে ঠিকমত টাকা পরিশোধ করত না বিধায় ১.৬৬ একর মৎস্যঘেরের জমি আমাদের বুঝিয়ে দেয়। আমরা ওই জমির উত্তর পূর্বপাশে ঢালাই পিলিয়ার স্থাপন করে তিন চাল বিশিষ্ট দুই কক্ষের বসতঘর তৈরি করি।
বিগত একবছর ওই বাড়িতে আমার মা হালিমা খাতুন (৬৫), ভাই রহমান গাজী (৪২), ভায়ের বউ খায়রুন নেছা (৩৭), ছোট ভাই জামাত আলী (৩২), ভাইপো রিপোন হোসেন (২১) ও মোস্তফা (২১) বসবাস করছি।
উক্ত ১.৬৬ একর জমি নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে বিরোধ ও মামলা চলে আসছিল। এমনকি তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এর জের ধরে গত ৮ আগষ্ট রাতে আমার ভাই আব্দুর রহমানের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও হত্যার উদ্দেশ্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম ও এসিড মেরে হত্যার চেষ্টা চালায়। এমনকি বসতবাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তাদের ছোড়া এসিডে আমার মা হালিমা খাতুনের পিঠে ও বাম পায়ের উরুর নিচে ঝলসে যায়। এছাড়া আমার ভাইয়ের স্ত্রীর কাধ ও পিঠের বেশকিছু অংশ ঝলসে গেছে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। আমার মা হালমা খাতুন, ভাই জামাত আলী ও ভাইয়ের বউ খায়রুন নেছার অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমান আহতরা সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।