হুমায়ুন কবির, বাঘারপাড়া(যশোর)। বাঘারপাড়ার চাড়াভিটা বাজার হতে চার কিলোমিটার দুরে মাহমুদপুর বাজার। সামনের দিকে আরেকটু এগোতেই চোখ পড়লো গাদা গাদা মেহগনির বীজের দিকে। চার জন নারী শ্রমিক ফল বাছাইয়ের কাজ করছেন।
একটু পরে এগিয়ে আসলেন রিপন হোসেন নামে এক যুবক যিনি এ ব্যবসার সাথে জড়িত তিনি জানান, আগে কাজ করতেন ইলেকট্রনিকের সে কাজ বাদ দিয়ে তিনি এ স্বল্প সময়ের ব্যবসা বেছে নিয়েছেন। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মেহগনির ফল সংগ্রহ করা যায়। গাছ থেকে ফল পেড়ে এনে এলাকার মানুষ বিক্রি করে যাচ্ছে। ১টা ফল ১টাকা পনের পঁয়সা হিসাবে ১হাজার ফল ১ হাজার ১ শত পঞ্চাশ টাকা দিয়ে কেনা হয়। মেহগনি বীজের ছোবড়া ভিতরের শ্বাস বের হওয়া গাদাকে তিনটি ভাগে ভাগ করে আলাদা করে রাখা হয়। গাদা ছোবড়া যশোর শহরের রাজারহাট এলাকায় ২৫০ টাকা মন বিক্রি করা হচ্ছে। ভিতরের শ্বাস ৩০ পয়সা পিস হিসাবে বেনাপোল বিক্রি হয়।
রিপন হোসেন আরো জানান, এ পর্যন্ত চার ট্রাক বীজের ছোবড়া ও শ্বাস বিক্রি করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭লাখ টাকার মতো। রাস্তায় বাগানে অবহেলায় পড়ে থানা মেহগনির বীজ বিক্রি করে তিন মাসে দেড় লাখ টাকা লাভোবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেন রিপন।
রিপন হোসেন আরো জানান, ১০ জন নারী শ্রমিক তিন মাসে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। প্রতি শ্রমিক দিনে ২৮০ টাকা হিসাবে মজুরি পাচ্ছে। নারী শ্রমিক ডলি বেগম , শিল্পি খাতুন জানান, তারা তিন মাসে এখানে কাজ করে ২৮০ টা প্রতিদিন আয় করে থাকে। তাতে তাদের সংসারের খরচ মেটাতে পারছে।
বাসুয়াড়ি ইউপি সদস্য শেখ সাদেকুর রহমান জানান, আমার ওয়ার্ডে রিপন হোসেন অযন্তে পড়ে থানা মেহগনির ফল বিক্রি করে লাভোবান হচ্ছে। এছাড়া কয়েক জন নারী শ্রমিক কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। তারা বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছে।