শরণখোলা প্রতিনিধি। বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলা নির্বাচনের প্রচারনায় বিএনপির আহ্বায়ক খান মতিয়ার রহমানের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের জেরে দফায় দফায় হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের শরণখোলা (খুড়িয়াখালী) বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আনারস মার্কার প্রার্থী রায়হান উদ্দিন শান্তর পক্ষে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খাঁন মতিয়ার রহমান উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের (খুড়িয়াখালী) শরণখোলা বাজারে একটি পথসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিলনকে কটুক্তি করে বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় তার কর্মী সমর্থকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার পরে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়।
এসময় আসাদুজ্জামান মিলনের সমর্থক রায়েন্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুম তালুকদার, আসাদ কবিরাজ, মাহবুব মোল্লা, শাহীন গাজী ও রায়হান উদ্দিন শান্তর আনারস মার্কার সমর্থক টুলু তালুকদার, ইমরান উদ্দিন শুভ, খাঁন মতিয়ার রহমান সহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মাসুম তালুকদার, আসাদ কবিরাজ, মাহবুব মোল্লা, শাহীন গাজী ও খাঁন মতিয়ার রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, শরণখোলা সুষ্ট নির্বাচনী পরিবেশকে বিঘ্নিত করতে ও তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক খাঁন মতিয়ার রহমান আওয়মী লীগের মধ্যে দ্বিধা বিভক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম কামরুজ্জামান খাঁন জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরিবেশ পরিস্থিতি নজরদারীতে রাখা হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার স্বার্থে যা যা কারার প্রয়োজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাই করা হবে।