1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
বিশ্বের স্থাপত্যশৈলীর এক বিস্ময়কর নিদর্শন সিডনি অপেরা হাউস - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
১৬ অক্টোবর প্রকাশ হবে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল রাজস্থানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা: অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল ২০ যাত্রীর ৩৬ বছর পর আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকসু নির্বাচন মিরপুরে পোশাক কারখানায় আগুন; মৃত্যু বেড়ে ১৬ দাঁড়িপাল্লা ঝুলানো নিয়ে পঞ্চগড়ে বিএনপি–জামায়াত সংঘাত,থানা ঘেরাও কেউ ভাবেনি এমন কিছু সম্ভব- গাজা যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হবে-বাদশাহ আবদুল্লাহ অভয়নগরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে  অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার পানি নিয়ে বৈষম্য গোদাগাড়ীর মাটিতে মেনে নেওয়া হবে না : সাবেক চেয়ারম্যান হযরত দেবহাটার এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর সমাপনী ও সনদ বিতরণ

বিশ্বের স্থাপত্যশৈলীর এক বিস্ময়কর নিদর্শন সিডনি অপেরা হাউস

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪
  • ৪২৭ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি-সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহর ও বাণিজ্যিক রাজধানী সিডনি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিকে বলা হয় ‘সিটি অব কালারস’। সারা বছরই কোনো না কোনো উৎসব লেগে থাকে এ শহরে। এই সিডনি নগর ‘বিশ্বের সবচেয়ে আরামের শহর’-এর তালিকায় পৃথিবীর সব শহরকে ছাড়িয়ে প্রথম হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি ভ্রমণ বিমা প্রতিষ্ঠা পেয়িং টু মাচের করা জরিপে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে সিডনির নাম। বেশ কয়েকটি দিক, যেমন শব্দদূষণ, পরিবেশদূষণ, হাঁটার জায়গা, সবুজ জায়গা, বাসিন্দাদের সুখ ইত্যাদি বিষয়ের মানদণ্ড বিবেচনা করে সিডনিকে পৃথিবীর সবচেয়ে আরামের শহরের খেতাব দেওয়া হয়েছে। সিডনির অদূরেই আরও রয়েছে নান্দনিক সব প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আরেক শহর মেলবোর্ন।

এই সিডনি শহরেই নির্মীত হয়েছে সিডনি অপেরা হাউজ (ইংরেজি: Sydney Opera House)। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বন্দরে এর অবস্থান। এটি নৌকার পাল আকৃতির ন্যায় দেখতে। অনেক ধরনের অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের কোটি কোটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে এই সিডনি অপেরা হাউজ। অপেরা হাউজটি মহাসাগরের এক প্রান্তে তৈরী করা হয়েছে যা দেখতে অনেকটা উপত্যকার মতো। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় এটিকে ২০০৭ সালে অন্তর্ভুক্ত করে।

সিডনি অপেরা হাউস এক বিস্ময়কর স্থাপত্যশৈলীর এক অসাধারণ নিদর্শন। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রধান শহর সিডনির মূল আকর্ষণ এই স্থাপনাটি। যে সময়ে এই স্থাপনাটি নির্মিত হয়, তখন এমন নকশা যথাযথ প্রযুক্তির অভাবে বাস্তবে রূপ দেওয়া প্রায় অসম্ভব ছিলো। তবুও প্রকৌশলীদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে এই অনন্য সুন্দর স্থাপনাটি নির্মিত হয়।

বর্তমান অপেরা হাউজটি বেনেলং পয়েন্টে তৈরী করা হয়েছে যা একসময় ম্যাককুইরি বন্দর হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৮১৭ সালে বন্দরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ও ১৯০১ সালে বিলুপ্ত করা হয়। এই জায়গায় ১৯৫৯ সালে সিডনি অপেরা হাউজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। জান আডজেন নামীয় ড্যানিশ স্থাপত্যবিদ সিডনি অপেরা হাউজের নকশা প্রণয়ন করেন। সিডনি অপেরা হাউজের উচ্চতা ৬৫ মি (২১৩ ফু),দৈর্ঘ্য- ১৮৩ মি (৬০০ ফু),প্রস্থ- ১২০ মি (৩৯৪ ফু) এবং আয়তন- ১.৮ হেক্টর (৪.৪ একর)।

অস্ট্রেলিয়ার রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০ অক্টোবর, ১৯৭৩ সালে আধুনিক স্থাপত্যকলার অন্যতম পদচিহ্ন সিডনি অপেরা হাউজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।

সিডনি অপেরা হাউজে রয়েছে একাধিক মিলনায়তন ও অনুষ্ঠানের স্থান। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশে আছে কনসার্ট হল। এর ধারণক্ষমতা প্রায় ২ হাজার ৭০০ জন। এ ছাড়া এতে আছে ১ হাজার ৫০৭ আসনের অপেরা থিয়েটার, ৫৪৪ আসনের ড্রামা থিয়েটার, ৩৯৮ আসনের প্লে হাউস ও ৪০০ লোক একসঙ্গে কাজ করার মতো একটি স্টুডিও। খাবার জায়গা ও কেনাকাটার জন্য বেশ কিছু দোকানও আছে সেখানে। সিডনির অপেরা হাউসে প্রতিবছর তিন হাজারের বেশি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে প্রায় ২০ লাখ দর্শকের আগমন ঘটে। এ ছাড়া অপেরা হাউসের বাইরে প্রতিদিন নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ পর্যটক শুধু এ স্থাপনা দেখতে সিডনিতে যান। তথ্যসূত্র-উইকিপিডিয়া

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews