দেবহাটা প্রতিনিধি। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (সংক্ষেপে বিআরইবি) হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা, যার দায়িত্ব হলো বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। বিআরইবি দেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে এই কাজটি পরিচালনা করে। এর প্রধান কার্যালয় খিলক্ষেত ঢাকাতে অবস্থিত, কিন্তু তাদের কাজ স্বচ্ছ জবাবদিহি না হওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাথে বেধেছে ঝামেলা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এই রিপোর্টার কে বলেন আমরা চাই সুষ্ঠু কর্ম পরিবেশ বজায় রেখে জনসাধারণ মানুষের মাঝে সঠিক সেবা পৌছায়ে দিতে। এই উদ্দোশ্য নিয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।আমরা চাই আমরা কাজ করবো সরাসরি সরকারের সাথে আমরা কোন সংস্থার সাথে কাজ করবো না আমারা কেনো এখনো আদিম যুগে থাকবো। যেমন (বিআরইবি) হলো একটি সংস্থা তাদের কাজ হলো সরকারের থেকে নিয়ে বিদ্যুৎ সমিতির দিয়ে জনগণকে সেবা দেওয়া। কিন্তু তারা নিন্ম মানের মালামাল ( মিটার,ট্রান্সফরমার, ফিউজ, কাট- আউট ইত্যাদি) ক্রয় করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে জন দূর্ভোগ তৈরি করছে। জরিপ করলেই দেখা যায় শতকরা ১০% লোকের মিটার ভালো না থাকায় সঠিক বিল হচ্ছে না। এছাড়া আরইবি কর্তৃক মালামাল সরবরাহ না করে মালামালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে গ্রাহক অসন্তুষ্টি বৃদ্ধি করছে।আমরা চাই জনগণ এই সকল ভোগান্তি থেকে নিরাশ পাক তাই আমরা আন্দোলনে নেমেছি ।
তিনি আরো বলেন আমাদের পক্ষে দেশের জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ আন্দোলন যৌক্তিক। পাশাপাশি তাদের দাবি তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করা না গেলেও যৌক্তিক পর্যায়ে সমাধান করা উচিত। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের আন্দোলনকে আমি সমর্থন করি। তারা মাঠ পর্যায়ে যেভাবে কাজ করে তাদের সেই মর্যাদা দেয়া হচ্ছে না। সমিতিগুলো ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোর মতো কাজ করছে। ফলে তাদেরকে অন্যান্য ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মতো কোম্পানি গঠন করে দিলে কোনো ক্ষতি দেখি না। বিআরইবি সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল, গ্রামীণ পর্যায়ে বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা। এখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়ে গেছে। আরইবিকে এখন অন্য রূপে কাজ করতে হবে।’বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরোধের কারণে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।