1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
‘সেবক’ কর্মকর্তাদের কাছে প্রাপ্য জমি ফিরে পেতে আসলাম বিশ্বাসের সংবাদ সম্মেলন - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

‘সেবক’ কর্মকর্তাদের কাছে প্রাপ্য জমি ফিরে পেতে আসলাম বিশ্বাসের সংবাদ সম্মেলন

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৮৭ জন খবরটি পড়েছেন

স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর)। যশোরের অভয়নগরে ‘সেবক মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ’ এর তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাপ্য জমি ফিরে পেতে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আসলাম হোসেন বিশ্বাস। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আসলাম হোসেন বিশ্বাস তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সোমবার দুপুরে অভয়নগর ‘সেবক’র দুর্নীতিগ্রস্ত কয়েকজন কর্মকর্তা নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ২০০৮সালে অভয়নগরে “সেবক” তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন মো. মুস্তাফিজুর রহমান, আনিসুর রহমান, আব্দুর রহমান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।

২০১২সালে নওয়াপাড়া বাজারে হোটেল কাকলী নামে পরিচিত একটি ভবনসহ জমি ক্রয় করে সেবক। ২০১৩সালে সরকারি নির্দেশে সেবকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ভবনসহ ওই জমি চার কর্মকর্তার নামে রেজিস্ট্রি করা হয়। ওই ভবন ভেঙে নতুন মার্কেট করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। মার্কেট নির্মাণের জন্য ২০১৮ মালের ২২ জানুয়ারি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্তা তরিকুল ইসলামসহ ৪ জনের সঙ্গে চুক্তি করে তারা। কিন্তু ওই জমিতে বহুতল মার্কেট নির্মাণে অপারগতা প্রকাশ করলে সেবকের ওই চার কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ৮ মার্চ আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মার্কেট নির্মাণে রেজিস্ট্রি চুক্তি করেন।

আসলাম হোসেন বিশ্বাস আরো বলেন, চুক্তি মোতাবেক ৯৮৭ খতিয়ানের ৪২৯ দাগে ৭ শতক জমিতে পাঁচতলা বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণের জন্য প্রথম তলার কাজ শুরু করা হয়। প্রথম তলার কাজ শেষে শর্ত মোতাবেক জমির রেসিও অনুযায়ী ০.৭০ শতক জমি আমার নামে লিখে দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় তলার নির্মাণ কাজ শেষে মার্কেটের বাম পাশের অর্ধেক ০.৭০ শতক জমিও লিখে দেওয়া হয়। এরপর সেবকের কর্মকর্তারা মার্কেটের দোকানঘর ভাড়া নিয়ে ছলচাতুরি শুরু করে। তখন আমি নওয়াপাড়া প্রফেসরপাড়া মসজিদের ভেতরে মুস্তাফিজুরের কাছে মার্কেটের ডান পাশের দোকান ভাড়া দিবে না বিক্রি করবে এমন প্রশ্ন করি। প্রশ্নের উত্তরে সে বলে আপনার অংশ নিয়ে আপনি থাকেন আমাদের ব্যাপারে মাথা না ঘামালে চলবে।

এসময় আমি বলি সেবকের গ্রাহকরা টাকার জন্য আমাকে বিরক্ত করছে। তখন মুস্তাফিজুর বলেন, সেটা আপনার ব্যাপার। পরে গ্রাহকদের বলা হয় আপনারা সেবকের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। তখন গ্রাহকদের চাপে পড়ে ওই চার কর্মকর্তা স্থানীয় জামায়াত নেতা বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে বসে ৫.৬০ শতক জমিসহ মার্কেট ৩ কোটি টাকায় বিক্রির প্রস্তাব দেয়। আমি ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রস্তাব দিলে তারা প্রস্তাবে রাজি হয়। এসময় আমাকে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করতে বললে সেই অনুপাতে কর্মকর্তা আল মামুনকে ৩০ লাখ টাকা দেয়া হয়। এসময় আল মামুন ওই মার্কেটের প্রথম তলার ডান পাশের দোকানঘরসহ ০.৬৫ শতক জমি লিখে দেন। এরপর অপর কর্মকর্তা আনিসুরকে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা, আব্দুর রহমানকে ৪ লাখ ৪৫ হাজার এবং মুস্তাফিজকে ৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। যার দালিলিক প্রমাণ রয়েছে। এই টাকা দেয়ার পর আমি ২য় তলার ডান পাশের অংশ লিখে দিতে বললে কর্মকর্তারা তাল বাহানা শুরু করে।

যে কারণে আমি আদালতে মামলা করি। তিনি আরো বলেন, আমার মনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে ০.৭০ এর স্থলে ৭ শতক জমির মালিকানা পেতাম। যেখানে আমি ৩টি দলিলে (২/৮/২০১৮ তারিখে ০.৭০ শতক, ১/১১/২০১৮ তারিখে ০.৭০ শতক ও ১২/৪/২০২৩ তারিখে ০.৬৫ শতক) জমি রেজিস্ট্রি করি। আমার ভেতরে সৎ উদ্দেশ্য ছিল, অসৎ উদ্দেশ্যে ছিল মুস্তাফিজুরের ভেতরে। তা না হলে গ্রাহকের কষ্টার্জিত টাকা আত্মসাত করে সে তার নিজের নামে ৪ শতক জমি কিভাবে রেজিস্ট্রি করে। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভয়নগর সেবকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ও ব্যবসায়ী লেনদেনের বিষয়টি পরিষ্কার করে তুলে ধরেছি।

এখন আমি সেবকের ওইসব কর্মকর্তার নিকট হতে আমার প্রাপ্য জমি যাতে পেতে পারি সে ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সাথে সেবকের গ্রাহকরা যাতে তাদের জমাকৃত টাকা মুনাফা সহকারে ফিরে পেতে পারে সে ব্যাপারে আপনাদের মাধ্যমে সরকার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত সেবক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমিসহ সেবকের ৪ কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আসলাম হোসেন বিশ্বাসের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে আসলাম সাহেব যা যা উপস্থাপন করেছেন তা শতভাগ সত্য। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সেবক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, গ্রাহক ফারুক হোসেনসহ আরো অনেকে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews