1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
তারুণ্যের প্রত্যাশা : বহুত্ববাদে বৈষম্যমুক্ত হবে বাংলাদেশ - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি: নিহত ৫ ‘যে গাছে ফরহাদের ছবি আছে, সেই গাছের নিচে শপিং ব্যাগে টাকা রেখে যাবি’ জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে পঞ্চগড় জেলা ছাত্রশিবিরের “জুলাই দ্রোহ” বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হিসেবে প্রথম সভা করলেন নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ শেরপুর–মৌলভীবাজার মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় যুবক নিহত ‘কিলার গ্যাং’ প্যাডে ৫ লাখ টাকার চাঁদা দাবি, পুলিশের হাতে ৫ জন প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা ‘বৈষম্যমূলক’ নয়, ব্যাখ্যা দিল মন্ত্রণালয় ফ্লাইট এক্সপার্ট হঠাৎ বন্ধ, মালিক দেশত্যাগের অভিযোগ অভয়নগরে বিএনপির উদ্যোগে যৌথ প্রস্তুতিমূলক সভা এক বছর ম্যাচই খেলেননি, তিনিই বর্ষসেরা ক্রিকেটার

তারুণ্যের প্রত্যাশা : বহুত্ববাদে বৈষম্যমুক্ত হবে বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৮৪ জন খবরটি পড়েছেন
বিলাল মাহিনী-বিডীটেলিগ্রাফ

বিলাল হোসেন মাহিনী। সংবিধান সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্রকে সন্নিবেশিত করার প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাবও এসেছে। বিশেষ করে বহুত্ববাদের ধারণা বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে সাহায্য করবে। বহুত্ববাদী সমাজ বিনির্মাণে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সহনশীলতা। পরমত ও সমাজের প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা, দর্শনকে গুরুত্ব দেয়া। বিশেষকরে সহাবস্থান খুব জরুরি। সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা।  বেঁচে থাকার প্রয়োজনে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারের যেমন প্রয়োজন আছে তেমনি কৃষক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি, চামার, ঝাড়–দার, দর্জি ও কুটির শিল্পীরও প্রয়োজন আছে। প্রত্যেকেই আমরা প্রত্যেকের ওপর নির্ভরশীল। এজন্য জাতিগত কুসংস্কার থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা জরুরি। একজন ডাক্তার, প্রকৌশলী বা সরকারী চাকুরে যদি ৮ থেকে ১০ ঘন্টা শ্রম দিয়ে মাসে লাখ টাকা বেতন পেতে পারেন, তবে একজন জেলে, তাঁতী বা দিনমুজুর কেনো মানবেতর জীবন-যাপন করবেন? রাষ্ট্র ও সমাজ কেনো আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য করবে? বেতন-ভাতায় কেনো পাহাড়সম বৈষম্য থাকবে? সামাজিক শ্রেণি, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ইত্যাদি ভুলে গিয়ে মানুষকে মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে। সব শ্রেণির ও পেশার মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে, সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হবে, মর্যাদা দিতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে দুর্বল ভাবলে চলবে না। কারণ রাষ্ট্রের সংবিধান সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ ও সম-অধিকার দিয়েছে।

সংবিধানে বহুত্ববাদ সংযুক্ত হলে পাহাড়ী-বাঙালী বা বাঙালী-বিহারী, ধর্মীয় বিভাজন, জাতি ও শ্রেনিগত বিভাজন থাকবে না। তবে এর জন্য দরকার সমাজিকভাবে উদারনীতি অবলম্বন করা। একে অপরের প্রতি উদার না হলে নাগরিক সমাজে নানা মতের প্রসার ঘটে না। ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং ভিন্নমত মেনে নেয়ার সংস্কৃতি গড়ে না উঠলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়। উদারবাদী মানসিকতা সমাজে এমনিতেই জন্ম নেয় না। তার বিকাশে সর্বজনীন শিক্ষার বিকাশ, মুক্ত মনের প্রসার, জ্ঞান-বিজ্ঞানকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন হয়। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও এ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা যায় না। উদারনীতি ও সহাবস্থানের জন্য দেশের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, পেশাজীবী গোষ্ঠী, সাংস্কৃতিক কর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক অবস্থান পরিহার করে তারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি বিচার করতে অভ্যস্থ হতে হবে।

অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বতীকালীন সরকার একটি সহনশীল, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন ও উন্নত বাংলাদেশ উপহার দিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে সম্ভাবনাময় ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে তার স্বমহিমায় বিশ্বের কাছে প্রতিভাত করে তুলবে- নতুন প্রজন্ম এটাই প্রত্যাশা করে। সভ্যতার বিকাশে চাই মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। জাতীয় ঐক্যই পারে যে কোনো উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে নিয়ে যেতে। মহান মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা, তার কতটা পূরণ হয়েছে- সে হিসাব করার এখন সময় এসেছে। রাজনীতিতে নতুন বন্দোবস্তের সময় এসেছে। সরকার প্রধান থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের প্রত্যেক দায়িত্বশীল যেনো জনগণের কাছে জবাবদিহিতার মানসিকতা রাখতে বাধ্য হয় সে ব্যবস্থা থাকতে হবে নতুন রাষ্ট্র কাঠামোয়। এজন্য, জাতীয় ঐক্যই দেশকে সুন্দর, সুদৃঢ় ও সংহতির চরম পর্যায়ে উঠাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় একাত্মতা ঠিক করবে আগামী দিনের বাংলাদেশ কেমন হবে।

সমাজে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে, মানুষের অধিকার হনন করে, কিছু লোক সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। পারিবারিক জীবনের পাশাপাশি সামাজিক জীবনে অধিকার ও সহনশীলতার চর্চা ফিরিয়ে নিয়ে আসা দরকার। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় একে অপরের প্রতি সহনশীল আচরণ, ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহাবস্থান অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর তথা বয়স্ক, বৃদ্ধ ও দুর্বল শ্রেণির প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহনশীল আচরণের শিক্ষা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে মানবিক মর্যাদা, সামজিক সুবিচারের সাথে বহুত্ববাদ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এই প্রত্যাশায়..।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews