প্রতিনিধি, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)। সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ভিটাবাড়ি ও মৎস্য ঘের দখলের অপচেষ্টা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম। উক্ত ঘটনায় ৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবার শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বলেন, শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম বিড়ালক্ষীতে আমাদের ভিটাবাড়ি ও মৎস্য ঘের দখলের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের ভিটা বাড়ী ও মৎস্য ঘের টি পশ্চিম বিড়ালক্ষী গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আবুল বাসার, ইত্তেজাবিন ইসলাম, আনারুল ইসলাম, কুদ্দুছ মোল্যা, আব্দুস সাত্তার মোল্যা, ফেরদৌস মোল্যা, দীন ইসলাম সহ কয়েক জন লাভ ও লোভের বশবতী হয়ে অবৈধভাবে জবর দখলের অপচেষ্টা করছে।
পশ্চিম বিড়ালক্ষী মৌজার জে,এল নং- ১০৪ এর মধ্যে ২৮.০৯ একরের মধ্যে ১১একর জমিতে ভিটা বাড়ি, মৎস্য ঘের, কবর স্থান, পুকুর খনন, ঘর বাড়ি তৈরী করে ভোগ দখল করে আসছি। ভিটা বাড়ী ও মৎস্য ঘের টি অবৈধভাবে দখল করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সাতক্ষীরা বরাবরে ১৪৫ ধারায় তার চাচাতো ভাই খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। যার নং পি- ১২১/২৫। বিজ্ঞ আদালত শ্যামনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জমির দখল বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দিবেন। শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ নালিশী জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। ২য় পক্ষ আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শাবেন এবং ১ম পক্ষ আরজীর কপি ও প্রসেস ফি দাখিল করবেন এ মর্মে আদেশ দেন। সি.এস রেকর্ডীয় মালিক নছিম ঢালীর মৃত্যুর পর ওয়ারেশ সূত্রে নালিশী ভূমি প্রাপ্ত হইয়া নিজ নামে নাম পত্তন করে খাজনা দাখিলা পরিশোধ করে তথায় কিছু ভূমিতে মৎস্য ঘের ও কিছু ভূমিতে ভিটা বাড়ী তৈরি করে বিভিন্ন প্রকার ফলবান বৃক্ষাদী লাগিয়ে রফিকুল ইসলাম ও গ্রামবাসী সর্ব সাধারনের পূর্ন জ্ঞাতসারে দ্বাদশ বর্ষের বহু উর্দ্ধকাল যাবৎ ভোগ দখল অধ্যবধি রয়েছে আমাদের।
এ ভিটাবাড়ি ও মৎস্য ঘের জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে জবর দখল করতে রফিকুল ইসলামরা ঘের লুটপাট, মারধর, খুন,জখম সহ নানাবিধ ভয় ভীতি, সেনাবাহিনী অফিসে ভুল বুঝানোর চেষ্টা, প্রশাসন কে জড়িয়ে মিথ্যার অভিযোগে লিফলেট বিতরণ, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও অপচেষ্টা অব্যহত রাখায় কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছি।