ঈদুল আজহার ছুটি ঘিরে শনিবার (১৭ মে) সরকারি অফিস খোলা থাকলেও সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। ঢিলেঢালা ভাবেই চলেছে দিনের কার্যক্রম।
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে সকাল ৯টায় অফিস শুরু হলেও সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, বহু কর্মকর্তা এখনও আসেননি, অনেকে দেরি করে আসছেন এবং কর্মচারীদের অনেকে অনুপস্থিত।
জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। ৬ ও ৭ নম্বর ভবনের মধ্যবর্তী এলাকা এবং ৪ নম্বর ভবনের গাড়ি রাখার স্থানে তুলনামূলক ফাঁকা দেখা গেছে, যেখানে সচরাচর হাঁটাচলাও কঠিন হয়ে পড়ে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “ছুটির দিনে অফিস খোলা থাকলে উপস্থিতি কিছুটা কম থাকাই স্বাভাবিক। অনেকে ছুটি নেন, কেউ গ্রামে চলে যান, কেউ হয়তো জানেনই না যে আজ অফিস খোলা।”
এক কর্মচারী জানান, আজ অফিস খোলা রয়েছে জানতেন না এমন কর্মচারীর সংখ্যাও কম নয়। “আমার এক বন্ধু ফোন করে বলেছে, আজ তো ছুটি। তখনই ও বুঝলো যে অফিস খোলা আছে,” বলেন তিনি।
এছাড়া, সচিবালয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাও ছিল কম, ফলে লিফটগুলোতেও ভিড় দেখা যায়নি। প্রশাসনিক পরিবেশ ছিল অনেকটাই স্থির।
উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এর পরিবর্তে ১৭ ও ২৪ মে শনিবার অফিস খোলা রাখা হয়েছে।