ঢাকা, ১০ জুন ২০২৫ – অনেক সময়ই দেখা যায় যে কিছু মানুষকে তাদের প্রকৃত বয়সের চেয়ে অনেক কম বয়সী মনে হয়। এর পেছনে জিনগত বৈশিষ্ট্য, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশগত কিছু কারণ রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। এই বিশেষ শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে সম্প্রতি একটি ব্লগ পোস্টে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে এর পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রথমত, জিনগত বৈশিষ্ট্য এই তারুণ্যের একটি প্রধান কারণ। কিছু মানুষের ডিএনএ-তে এমন কিছু জিনগত পরিবর্তন থাকে যা তাদের কোষের বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। বিশেষ করে, যারা বয়সের তুলনায় তরুণ দেখায়, তাদের ‘টিউমার নেক্রোসিস ফ্যাক্টর-আলফা’ (TNF-alpha) এবং ‘ফর্কহেড বক্স প্রোটিন ও১’ (FOXO1) এর মতো প্রদাহ-প্রতিরোধী জিনের ক্রিয়াকলাপ বেশি সক্রিয় থাকে। এই জিনগুলো শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা কোষের ক্ষতি এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলো কমিয়ে দেয়।
দ্বিতীয়ত, জীবনযাত্রার ধরনও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক চাপমুক্ত জীবন তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। যারা এসব নিয়ম মেনে চলেন, তাদের ত্বকের সজীবতা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে, যা তাদের কম বয়সী দেখাতে সহায়তা করে। ধূমপান এবং অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে দ্রুত বার্ধক্যের লক্ষণ তৈরি করে, অন্যদিকে এসব থেকে বিরত থাকলে ত্বক ভালো থাকে।
সবশেষে, বিজ্ঞানীরা আরও গবেষণা করছেন এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে। তবে প্রাথমিকভাবে এটি স্পষ্ট যে, জিনগত প্রবণতা এবং সুস্থ জীবনযাপন উভয়ই মানুষের বয়সের তুলনায় কম দেখানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। এই পর্যবেক্ষণগুলো ভবিষ্যতে বার্ধক্য প্রতিরোধক চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার উন্নত গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।