রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি হতে এসে জালিয়াতির অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে স্নাতক প্রথমবর্ষে ভর্তি হতে এলে বিভাগের সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তাকে প্রক্টর কার্যালয়ে নেওয়া হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আটক এই শিক্ষার্থীর বাড়ি রংপুর জেলায়। সম্প্রতি রাবির ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় সে ২২ নম্বর পেয়েছিল, যা পাশের নম্বর থেকে কম।
প্রক্টর ও বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আটক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করার পরও রাবিতে ভর্তির জন্য রংপুরের রহিসুল ইসলাম রাহী নামের এক ব্যক্তিকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আশ্বাস দেন। এরপর এই শিক্ষার্থী ফার্মেসি বিভাগের সভাপতির সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভর্তি হতে আসে। ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শাহনাজ পারভীনের সন্দেহ হলে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রক্টর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন।
আটক শিক্ষার্থী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, রংপুরের ‘রাহী’ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে রাবিতে তার ভর্তির চুক্তি হয়েছিল। তার এক বান্ধবীর জন্যও একই চক্রের সঙ্গে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার চুক্তি হয়েছিল। ভর্তির জন্য আসলে রাবির একজন শিক্ষার্থীর তাকে রিসিভ করার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, “ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভর্তিচেষ্টা করে এই যুবক। সন্দেহ হলে বিভাগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রক্টরের দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। টাকার বিনিময়ে সে এই জালিয়াতি করেছে বলে আমরা জানতে পারি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি ড. শাহনাজ পারভীন জানান, “ভর্তির জন্য ওই ছাত্র আসার পর তার কাগজপত্র দেখছিলাম। কিন্তু কাগজে আমার সিল ও স্বাক্ষর ঠিক ছিল না। ফলে সন্দেহ হলে তাকে প্রক্টর দপ্তরে পাঠিয়ে দেই।”
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং মামলার প্রক্রিয়া চলছে।