বাঘারপাড়া প্রতিনিধি। অনেক বাধা ও নাটকীয়তা শেষে যশোরের বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজে পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পর্ষদের (গভর্নিং বডি) সভাপতি হিসেবে প্রথম সভা শেষ করতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা ও সহকারি এ্যাটর্নি জেনারেল নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। আজ সকালে কলেজটির অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে ২৮ জুলাই ৮৪৭২ স্মারকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত পত্রে নূরে আলম সিদ্দিকীকে বাঘারপাড়া কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও মাসুদ আলম টিপুকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিন শনিবার সকালে নূরে আলম সিদ্দিকী কলেজে পৌঁছালে পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরাসহ কলেজটির কর্মচারিবৃন্দ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য সচিব ও বাঘারপাড়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন, বিদ্যাৎসাহী সদস্য মাসুদ আলম টিপু,অভিভাবক সদস্য বাচ্চু মিয়া, শিক্ষক প্রতিনিধি অশরাফুল ইসলাম, আলমগীর সিদ্দিকী ও খালিদা পারভিন। এরপর কলেজের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শেষে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল বিশ্বাসের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত সভাপতিকে দলীয় ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর আগের এডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
কলেজটির অভিবাবক সদস্য নির্বাচনে উপজেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এক পক্ষে ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল হাই মনা। তিনি জামায়েতের প্রার্থী ও একজন বিএনপির প্রার্থীকে নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামেন। এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র সাধারন সম্পাদক ও কলেজটির দাতা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আয়ূব। অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে জয় পায় মনা পক্ষের বাচ্চু মিয়া। অইয়ূব পক্ষে জয় পায় আসাদুজ্জামান ও নাজমুল আল-মামুন।
এরপর সভাপতি হিসেবে নূরে আলম সিদ্দিকীকে মনোনয়ন দেওয়ার পর আইয়ূব পক্ষ এটাকে ভূয়া বলে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেয়। এদের দাবি ছিলো কলেজটির অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নামের তলিকা পাঠানো হয়েছে। এ গুজব যখন কাজে না আসে তখন তারা (আইয়ূব পক্ষ) ঘোষণা করেন সভায় কোরাম সংকটের সৃষ্টি করবেন। তবে সকল বাধা উপেক্ষা করে নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ তার সভা শেষ করতে পেরেছেন। সভায় আইয়ূব পক্ষ হিসেবে পরিচিত, দাতা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব, হিতৈষী সদস্য নেকবার হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুল আজিজ, অভিবাবক সদস্য আসাদুজ্জামান, নাজমুল আল মামুন শের উপস্থিত ছিলেন না।
কলেজটির অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল মতিন জানান, ১২ সদস্যের কমিটিতে ৭সদস্য উপস্থিত হওয়ায় সভাটি আইনগত মর্যাদা পেয়েছে। আগামী দুই বছর এ কমিটিই কার্যকাল শেষ করবেন। দ্রুতই কমিটির বাকি সদস্যের পদ পুরণ করা হবে।