ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি প্রাথমিকভাবে ২০০ আসনে দলের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে। এরই মধ্যে ৩০০ আসনের মধ্যে এই ২০০ আসনের প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করেছে দলটি।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি ঢাকায় দলের ১০ সাংগঠনিক বিভাগের ৯৯৮ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রবিবার ও সোমবার অনুষ্ঠিত এই সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তারেক রহমান দ্রুততম সময়ে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার আশ্বাস দেন। তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে বলেন, দলে কোনো বিভেদ তৈরি করা যাবে না এবং ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এরই মধ্যে বিএনপি গত মাস থেকে ফোন ও বার্তার মাধ্যমে একক প্রার্থীদের “গ্রিন সিগন্যাল” দিতে শুরু করেছে। তবে এসব প্রাথমিক মনোনয়ন। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর মনোনয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। প্রত্যাশিতভাবে মাঠে সক্রিয় না হলে প্রার্থিতায় পরিবর্তন আসতে পারে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, “মনোনীত প্রার্থীদের ফোন বা বার্তার মাধ্যমে জানানো হচ্ছে। তপশিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।”
বিএনপি এখন বাকি ১০০ আসনের প্রার্থিতা নির্ধারণে কাজ করছে, যার মধ্যে নির্বাচনী জোট ও শরিক দলের আসনও রয়েছে। একাদশ নির্বাচনে বিএনপি ৫৯টি আসন ছাড়লেও এবার তা ৫০টির আশপাশে থাকতে পারে। তবে “বৃহৎ জোট” গঠিত হলে আসন ছাড়ের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তপশিল ঘোষণা করা হবে।