1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির চেষ্টা; নসিমন বোঝাই বই ফেলে পালালেন শিক্ষক - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাত্র ১০ ব্যাংকে জমেছে দেশের ৭১% খেলাপি ঋণ ট্রাম্পের পরিকল্পনা স্থগিত, তবুও ২৪ ঘণ্টায় মার্কিন পদক্ষেপের সম্ভাবনা ট্রাম্প বললেন ‘হামলা করতেও পারি’, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি আগামী পাঁচ দিন টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, কিছু এলাকায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাস ৬,৫৫৮ জন, সামনে ভাইভা মাত্র ১৫ মিনিটেই শেষ, ৪৯৫ রানে থামলো বাংলাদেশের ইনিংস বাবার সালিশের প্রতিশোধে প্রাণ গেল শিশু হোসেইনের খালেদা জিয়া হাসপাতালে, শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল চরবাসীর প্রতিদিন কাটে টিকে থাকার লড়াইয়ে ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত স্পষ্ট?

সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির চেষ্টা; নসিমন বোঝাই বই ফেলে পালালেন শিক্ষক

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১
  • ৪৬৪ জন খবরটি পড়েছেন

যশোরের অভয়নগরে বিভিন্ন শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর প্রতিরোধে বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার ধোপাদি গ্রামের ধোপাদি দপ্তরীপাড়া শহিদুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকৃত বইগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার মূল ভবনের সামনে প্রথম শ্রেণি থেকে দশশ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ বিজ্ঞান, ইসলাম ধর্ম, নৈতিক শিক্ষা, কৃষি শিক্ষাসহ আরও অন্যান্য বিষয়ের বই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। পাশে একটি ওজন পরিমাপের ডিজিটাল মেশিনও রয়েছে।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। উদ্ধার করা বইগুলোর মধ্যে ২০১৯ ও ২০২০ সালের বিভিন্ন শ্রেণির নতুন বই রয়েছে। আনুমানিক সাড়ে ১২ মণ ওজন হলেও বইগুলোর প্রকৃত সংখ্যা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। জব্দকৃত বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে নেয়া হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা আনুমানিক ২টার সময় নতুন বইগুলো ওজন করে একটি নসিমনে ভর্তি করা হচ্ছিল। এসময় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হামিদ দপ্তরীর নেতৃত্বে এলাকাবাসী প্রতিরোধ করলে নসিমন চালক ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলী বইগুলো ফেলে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ দপ্তরী বলেন, এই মাদ্রাসায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বমোট ৩০ জন। এখানে এত বই কিভাবে দিয়েছে সরকার। এই চক্রের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

সরকারি বই বিক্রির বিষয়ে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল্লাহ, মাদ্রাসার সুপার, সহকারী সুপারসহ সকল শিক্ষকমন্ডলীর সম্মতিতে বইগুলো বিক্রি করা হচ্ছিল।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শহিদুল্লাহ মোবাইল ফোনে জানান, তিনি বই বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না। মেয়ের অসুস্থতার কারণে এলাকার বাইরে রয়েছেন। যদি শিক্ষকরা জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews