পুলিশকর্মীসহ প্রায় চারশ’জন নরপিশাচ টানা ৪ থেকে ৬ মাস ধরে যৌন নিপীড়ন করেছে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে।
ভারতের মহারাষ্ট্রের ১৭ বছরের ওই কিশোরীর অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, পাচারের পর ওই কিশোরীকে নামানো হয়েছিল দেহব্যবসায় ।
গত ১১নভেম্বর এফআইআর দায়ের করার পরে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) শিশু কল্যাণ কমিটির কাছে কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করা হয় । সূত্রের খবর, কিশোরী প্রাথমিকভাবে অভিযোগ দায়ের করতে রাজি না থাকায় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে অভিযোগ করতে রাজি হন।
ওই কিশোরীর দাবি, মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু মতবিরোধের কারণে স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায় । সম্প্রতি বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন ওই কিশোরী। সেখানেও বাবার যৌন হেনস্থার মুখে পড়েন। ফলে গত মে বা জুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে একটি বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন । ওইখান থেকেই তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কিশোরীর দেয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে মহারাষ্ট্র পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে । ভারতীয় দণ্ডবিধির ধর্ষণ, গণধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মতো ধারার পাশাপাশি পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকারী পুলিশ এবং বিডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবিতা নেরকার জানান, একটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে নিয়ে আসেন। গত ৮ নভেম্বর অভিযোগ দাযের করার পরে কিশোরীর বাবা, স্বামীসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, এফআইআর দায়েরের চারদিন পর কিশোরী অভিযোগ করেন যে তাঁকে ৪০০ জন ধর্ষণ করেছেন। ওই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুত্র-হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা