মাগুরা প্রতিনিধি।।
অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শিক্ষার্থীকে ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে একটি বাড়িতে নিয়ে যৌন নিপিড়ন ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাগুরার মহম্মাদপুর উপজেলার এক ইউপি সদস্য কে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন মৃধা মহম্মদপুর উপজেলার পারুয়ারকুল গ্রামের মৃত আওয়াল মৃধার ছেলে এবং বাবুখালী ইউনিয়ন এর ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
মেয়েটির মা জানান, ইসমাইল মেম্বার কয়েক দিন আগে তাদের বাড়িতে গিয়ে জানান, স্কুলের মেয়েদের ভাতার কার্ড তৈরির দায়িত্ব সরকার এবার তাকে দিয়েছে। কিন্তু কার্ড করতে হলে মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে। যে কারণে মেয়েকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এ কথা বলে ইসমাইল মেম্বার রোববার সকালে মেয়ের সঙ্গে তাকে মোটরসাইকেলে চড়িয়ে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে পৌঁছে মেম্বার তাকে টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে বলে মেয়েকে নিয়ে যান। একপর্যায়ে সেখান থেকে শহরের হাজী সাহেব রোডে নিয়ে জনৈক সেলিনা আকতারের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এ সময় সে চিৎকার দিলে ইসমাইল মৃধা মেয়েটিকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে নিজে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর মেয়েটি স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে পৌঁছে মায়ের কাছে বিস্তারিত জানায়। এরপরে থানায় অভিযোগ করার পরে মাগুরা সদর থানা পুলিশ সোমবার ( ২১ মার্চ) সকালে মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়ন এর আলমখালী বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন মৃধাকে আটক করে ।
মাগুরা সদর থানার ওসি মোঃ নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।