মামলা নিচ্ছে না পুলিশ
মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ বাগেরহাট প্রতিনিধি।। বাগেরহাটের শরণখোলার উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের মারপিটে গুরুতর আহত হন জাহাঙ্গীর তালুকদার (৫২)। ঘটনার একমাসের মাথায় গত ১৩ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
পরে থানা পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা নিয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। তবে জাহাঙ্গীর তালুকদাকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবার দাবী করছেন। পুলিশের সহায়তায় ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।
রবিবার (২২ মে) সকাল ১০টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তারা।নিহতের ছেলে মো. নাইমুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, জমি নিয়ে চাচাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দন্ধ চলছে। ঘটনার দিন গত ১১ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে চাচা আলমগীর তালুকদার (৪৮) আমাদের বাড়ির সীমানায় ঢুকে নারকেল গাছ থেকে জোরপূর্ব ডাব পাড়ার চেষ্টা করেন। এসময় আমার বাবা জাহাঙ্গীর তালুকদার বাধা দিলে তাকে গাছের সঙ্গে বেধে মারপিট করেন। আমার বাবাকে লোহার রড দিয়ে মুখে আঘাত করলে তার মুখ থেঁতলে যায়। রডের আঘাতে একটি দাঁত ভেঙে যায় এবং দুটি দাঁত মারাত্মকভাবে জখম হয়।
বাবার চিৎকার শুনে আমার মা তাসলিমা বেগম ছুটে গেলে তাকেও পরনের শাড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে মারতে থাকেন তারা। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় বাবাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতলে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনায় রেফার্ড করে চিকিৎসকরা। এঘটনার এক মাস তিন দিন পর মারা যান তিনি।নাইমুর আরো বলেন, আমার বাবাকে তারা পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটানার পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়ছেন আমার আরেক চাচা শরণখোলা সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. জামাল হোসেন তালুকদার। তার পরিকল্পনায় আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।
পরবর্তীতে তার ইন্ধনে হত্যাকারী আলমগীর তালুকদার ও তার ছেলে রোকন তালুকদার অব্যাহতভাবে আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের হুমকিতে আমরা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছি। থানায় মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ।
এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রভাষক জামাল হোসেন তালুকদার বলেন, এসব ঘটনা সম্পর্কে আমার কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। তারা অহেতুক আমাকে জড়িয়ে আমার মানসম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
শরণখোলা থানার ওসি মো. ইকরাম হোসেন বলেন, পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠাই। এব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।