ইলিয়াস হোসাইন।।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খাইরুল ইসলাম (১৮) নামের কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে যখম করেছে প্রতিপক্ষ। অপরদিকে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন দরগাশরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর দুই ছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাত ৯ টায় উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মহিষকাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় কলেজ ছাত্রকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বজনরা।
আহত খাইরুল একই ইউনিয়নের উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামের মতিউর রহমান হাওলাদারের ছেলে ও সুবিদখালী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
অন্যদিকে বুধবার (৩ আগস্ট) সকাল ১০ টায় দরগাশরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে শ্রীমন্তন নদীর পারে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
আহত স্কুল ছাত্র মোমেন গোলদার (১৪) উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ গ্রামের মামুন গোলদারের ছেলে এবং নেছার উদ্দিন (১৪) একই ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের শাহ আলম বয়াতির ছেলে।
কলেজ ছাত্রের স্বজনরা এবং প্রতক্ষদর্শী বন্ধু নয়ন জানান, চাচা নুর ইসলাম হাওলাদারের পরিবারের সাথে একই গ্রামের মতিউর রহমান হাওলাদারের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নুর ইসলামের পরিবার তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে ঘটনার সময় মহিষকাটা বাজারে বসে নুর ইসলামের ছেলে নাহিদুলের সাথে মতিউর রহমানের ছেলে খাইরুলের কথার কাটাকাটি হয়। এ সময় নাহিদের সাথে থাকা ছুরি দিয়ে অতর্কিতভাবে খাইরুলের হাতে ও গলায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হলে সাথে থাকা স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
হামলার বিষয়ে জানতে নাহিদুলের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি বলেন, লোকজন নিয়ে খাইরুল মহিষকাটা বাজারে বসে আমার ওপর আক্রমন করে। আমাকে মারার সময় তাদের হাতে থাকা ছুরির আঘাত তাদের গায়ে লাগে।
আহত ও স্কুল ছাত্রদের কাছ থেকে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোমেন ও নেছার প্রাইভেট শেষ করে নদীর পাড়ে বসে। এ সময় একই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র সজল অধিকারী (১৬) এসে তাদেরকে সেখান থেকে সরে যেতে বলে। এ সময় তারা সরে না গেলে প্রথমে নেছারকে কিল ঘুসি দেয়। এতে নেছার আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। মোমেন নেছার মারার কারণ জানতে চাইলে অতর্কিতভাবে পাশে থাকা লাঠি ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হন সে। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে স্কুলের ছাত্ররা এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। মোমেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত সজল অধিকারী মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ গ্রামের বিপুল অধিকারীর ছেলে ও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন দরগাশরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন দরগাশরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।