যশোর প্রতিনিধি।।
যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ভাঙচুর, লুটপাট ও কর্মরতদের মারপিটের অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়েছে।
শুক্রবার কোতয়ালি থানায় বিএনপির ৫৬ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছেন ওই ইউপির ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মনিরুজ্জামান সাকির।
আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি গোলাম রেজা দুলু, যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, যশোর শহরের চুড়িপট্টির রকিবুল ইসলাম চৌধুরী, বারান্দী মোল্লাপাড়ার মাসুম কবীর, ঘোপের রেজাউল ইসলাম মোল্লা, ঘোপ জেল রোডের সৈয়দ আলী আশফাক, শংকরপুরের মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক সড়কের এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের সোহেল রানা তোতা, বালিয়াডাঙ্গার নাজমুল হোসেন বাবলু, হামিদপুরের শফিকুল ইসলাম, শেখহাটির রাজ্জাক, মুড়লীর বিহারী রাজু, চাউলিয়ার আব্দুস সালাম বিশ্বাস, রামপুরের গ্রামের শিমুল হোসেন, গোপালপুরের হাসানুর রহমান সাকিল, রেজাউল ইসলাম রেজা, শ্রীপদ্দির আবু সাইদ, বারীনগর বাজারের বুলবুল, আব্দুস সালাম, দক্ষিণ ললিতাদহ গ্রামের হাফিজুর রহমান, জামতলা-হাটবিলার আফজাল হোসেন, কামাল শেখ, মণিরামপুরের লাউখালী গ্রামের বাবলু, রূপদিয়ার লাইছ খান, কুয়াদা বাজারের সিরাজ মোল্লা, কুয়াদা গ্রামের সরদার পাড়ার মফিজুর রহমান টিটু, রাজারহাট বাজারের লিটন হোসেন, মুড়লীর মারুফ হোসেন, রাজারহাট ধোপা পাড়ার রাজিব হাসান, রামনগরের জহির হাসান, রামনগর দক্ষিণপাড়ার মন্টু সরদার, মোজাহার, রাজারহাটের জাহাঙ্গীর, মনোহরপুরের দাউদ ইব্রাহিম, আকরাম হোসেন, রামনগর খানকায় ওয়াইছিয়ার ইমামুল, শেখহাটি লিচুতলার বেনজির বিশ্বাস, মথুরাপুরের পারভেজ, ঘাটকুল কচুয়ার আসলাম, গাইদগাছির অহেদ মোড়ল, মশিয়ার রহমান, কাজী রাহী তনি, নরেন্দ্রপুর খন্দকারপাড়ার ফারুকুজ্জামান রাসেল, নরেন্দ্রপুরের জিলহাজ, নরেন্দ্রপুর বেলতলার আব্দুস সামাদ, ঘুরুলিয়ার মজিবর রহমান, বরলামপুরের আব্দুল হালিম, জাহাঙ্গীর আলম, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান খান, রূপদিয়া কলাপট্টির মকবুল হোসেন, গোপালপুরের ইমামুল ইসলাম তুহিন, কামরুল, ধোপাপাড়ার আলম, বানিয়ারগাতির শফিয়ার রহমান শফি এবং মানিকদিহির শরীফ।
বাদীর অভিযোগ, তিনি নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার। ঘটনার দিন ২৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে আসামিরা ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা পরিষদের দুটি সোলার, টেলিভিশন, সিসি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল ভাঙচুর করে সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেন। এছাড়া এক লাখ টাকা মূল্যের দুটি ল্যাপটপ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যান। এ সময় অন্যান্য ইউপি মেম্বার তাদের ঠেকাতে গেলে তাদের মারপিট করা হয়। এতে ১০ জন আহত হয়। পরে তারা ফের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে চলে যান।