অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি।।
যশোরের অভয়নগরে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানার চুল্লি ভেঙ্গে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এদিন সকালে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের সোনাতলা অঞ্চলের কাঠ ও কয়লা পোড়ানোর ৫৮টি চুল্লি ভেঙ্গে দেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক থান্দার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত। অবৈধভাবে তৈরি কাঠ কয়লার চুল্লি ভেঙ্গে ফেলায় স্থানীয় জনগনের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের অগোচরে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছিল স্থানীয় কিছু প্রভাশালীরা। ইতোমধ্যে কয়েকবার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের মাধ্যমে চুল্লিগুলো ভেঙ্গেও দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে কোন এক অদৃশ্য শক্তি নিয়ে আবার নতুন উদ্যমে শুরু করেন এই অকর্মের কাজ।
স্থানীয় ভূক্তভোগিরা জানান, এই চুল্লির কারনে ঘন বসতিপূর্ণ এ অঞ্চলের সবুজ গাছেরপালাগুলো ধূসরে পরিনত হতে শুরু করেছে। বিস্তীর্ণ সবুজ ক্ষেতের পাতা পুড়ে গেছে। গাছের ডালপাতা পুড়ে গেছে ধোয়ার বিষাক্ত বাতাসে। মারা যাচ্ছে নদীর পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতিরগাছ। যার ফলে একদিকে বন উজাড় হচ্ছে অপরদিকে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। বৃদ্ধ, শিশু ও পরিবেশ সবই ভয়াবহ সংকটের মুখে। অবশেষে সংবাদপত্রে ঘটনা প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
বুধবার সকালে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশের সহযোগিতায় ৫৮ চুল্লি ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় নির্বাহী ম্যাজিট্রেট। এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ, অভয়নগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কমলকৃষ্ণ দাস, নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মেজবা ফকির, ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারি কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার শীল এবং আমতলা ক্যাম্প ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলামসহ আমতলা ও সোনাতলা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক থান্দার কামরুজ্জামান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ৫৮টি কয়লার চুল্লি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের মাধ্যমে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।