1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
অভয়নগরে নদী ভাঙনে বিলুপ্ত হতে চলেছে অর্ধশত বছরের বাঁশের হাট - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
১০ লাখ টাকায় মিসাইল ড্রোন! তরুণ উদ্ভাবকের দাবি আলোচনায় শ্যামনগরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু শ্যামনগর কৈখালী সীমান্তে পতাকা বৈঠকে ৪ বাংলাদেশীকে হস্তান্তর মাদক, অনলাইন জুয়া ও ইভটিজিং প্রতিরোধে শ্যামনগরে বিট পুলিশিং সভা ইরান পার্লামেন্টের অনুমোদন: হরমুজ প্রণালী বন্ধ হতে পারে যেকোনো সময় সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা পুলিশ হেফাজতে অভয়নগরে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর লাশ মিলল ডোবায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে, পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় শরীয়তপুরের ডিসি ওএসডি যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ‘আইনবহির্ভূত ও অপরাধমূলক’—ইরানের কড়া প্রতিক্রিয়া

অভয়নগরে নদী ভাঙনে বিলুপ্ত হতে চলেছে অর্ধশত বছরের বাঁশের হাট

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ২০২ জন খবরটি পড়েছেন

তারিম আহমেদ ইমন।
অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে চন্দ্রপুর গ্রামের আত্রাই নদের চরে গড়ে উঠেছে অর্ধশত বছরের বাঁশের হাট। ৫২ বছর ধরে চলা এই হাটটিতে দিনদিন ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে।

জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী হাটটি ১৯৭১সালে স্বল্প পরিসরে শুর“ হয় এবং পরবর্তীতে দিনে দিনে হাটের পরিধি বাড়তে থাকে। বর্তমানে এই হাটটি খুলনা অ লের জনপ্রিয় বঁাশের হাট হয়ে উঠেছে। নদীর তীরবর্তী ও প্রধান সড়কের সংলগ্নে হওয়ায় হাটটিতে পণ্য পরিবহনে সহজলভ্য হয় বলে ক্রেতা ও বিক্রেতার অনেক সমাগম ঘটে এই হাটটিতে।

শনিবার সরেজমিনে হাটে গিয়ে বসুন্দিয়া এলাকার বাসিন্দা বঁাশ ব্যবসায়ী মো. সাবু খানের কথা হলে তিনি বলেন, যশোর-খুলনার ভিতর এই হাটটি বৃহত্তম বাঁশের হাট। আমরা প্রতি হাটে অনেক টাকার কেনাবেচা করে থাকি। এই হাটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা অনেক ভালো। তবে হাটটি নদী ভাঙনের কারণে আমাদের বাঁশ রাখতে অনেক কষ্ট হয়।

খুলনা থেকে আসা বঁাশ ব্যবসায়ী মকবুল শেখ বলেন, আমি প্রতি হাটে ৪শ’ থেকে ৫শ’ বাঁশ কিনে নিয়ে দিঘলিয়া, মধুপুর, হাজীগ্রাম নিয়ে বিক্রি করে থাকি। এই হাটে বিভিন্ন জাতের বাঁশ যেমন তল্লা, উলকো, জাবা ইত্যাদি বাঁশ ক্রয়-বিক্রয় হয়।

চন্দ্রপুর বাঁশের হাট কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান খান জানায়, ১৯৭১ সালে এই বাঁশের হাটটি শুর“ হয়। এখানে অনেক দূরদূরান্ত থেকে ব্যাপারী আসে। প্রতি হাটে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার বাঁশ বেচাকেনা হয়। বর্তমানে হাটটি নদী ভাঙনে বিলিন হতে চলেছে বলে দাবি করেন তিনি। সরকারের কাছে হাটটি মেরামতের সুব্যবস্থা ও ব্যাপারীদের থাকার জন্য একটি চান্দিনার দাবি জানান তিনি।

অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন, এই বাঁশের হাটের মাধ্যমে অভয়নগরসহ আশপাশের অনেক উপজেলার মানুষ ব্যাপক উপকৃত হয়। সমসময়ের ব্যবধানে নদী ভাঙনে এই হাট নদী গর্ভে বিলিন প্রায়। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আহবান জানাবো, গাইড অল নির্মাণের মাধ্যমে হাটটিকে সংরক্ষণ করবার। পাশাপাশি চান্দিনা তৈরি ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব তা আমি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবো।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews