1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষা করতে গাছ লাগাতে হবে - Bdtelegraph24 | বাংলা
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান আছেন লন্ডনে, আমিরাতেও ৩শ বাড়ির খোঁজ স্কুল শিক্ষিকা সবিতা রাণী হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়নি কেউ নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কে অপসরণের দাবিতে মানববন্ধন সাংবাদিককে হত্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে সরকারি জায়গা দখলের হিড়িক শ্যামনগরে এইচপিভি বিষয়ক সমন্বয়ক সভা অনুষ্ঠিত দেবহাটায় নব গঠিত তাঁতী দলের আহবায়ক কমিটিকে বিভিন্ন সংগঠনের শুভেচ্ছা অভয়নগরে ইমাম পরিষদের পরামর্শ ও মতবিনিময় সভা অভয়নগরে কেন্দ্রীয় যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণ শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন-ড. আসিফ নজরুল

পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষা করতে গাছ লাগাতে হবে

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪
  • ১১০ শেয়ার হয়েছে

-বিলাল হোসেন মাহিনী

এ বছর রেকর্ড তাপমাত্রা দেখেছে বাংলাদেশ। প্রকৃতির এই অসহ্য খরা থেকে রক্ষা পেতে আমাদেরকে পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগতে হবে। বৃক্ষ রোপনে পিছিয়ে থাকলেও কর্তনে এগিয়ে থাকি আমরা। সরকারিভাবে বৃক্ষরোপনের হিসাব থাকে কিন্তু বৃক্ষ নিধনের খবর থাকে না বা রাখেন না কেউ। প্রতিবছর বর্ষাকাল আসলেই বৃক্ষরোপন কর্মসূচী বাস্তবায়নে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বেশ তৎপর হয়ে ওঠেন। বৃক্ষ রোপন ও পরিবেশের ব্যাপারে তখন খুব আন্তরিক দেখা যায় তাদেরকে। কিন্তু সেই সব গাছ কতদিন বেঁচে থাকলো তা নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা থাকেনা তাদের। এর ভেতরের রহস্য খুঁজতে যেয়ে দেখা গেল, এই আগ্রহের পেছনে রয়েছে টাকার খেলা। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বৃক্ষরোপন প্রজেক্টে মোটা অংকের বাজেট থাকে। এজন্য এ কাজে কর্তকর্তাদের তোড়-জোড় দেখা যায়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষনে টাকার বরাদ্দ না থাকায় সরকারি কর্তাদের সেখানে আগ্রহ-ই থাকে না। একইভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করলেও তা রক্ষণাবেক্ষনে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

১৯৭৪ সাল থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে থাকে। সভ্যতা, নগরায়ণ, শিল্পায়নের নামে প্রকৃতিকে যেভাবে নিঃশেষ করা হচ্ছে তা দেখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চৈতালি’ কবিতার চরণটি মনে পড়ে যায়, তিনি বলেছিলেন, ‘দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর’।  আমাদের প্রকৃতি করো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। প্রকৃতি শুধু আমার নয়, আমাদের। আমরা প্রকৃতির অংশ। প্রকৃতি আমাদের সবার। আসুন আমরা আমাদের প্রকৃতিকে রক্ষা করি, আমরা নিজেদের রক্ষা করি। কেননা, পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষা করা মানেই নিজেদেরকে রক্ষা করা। আসুন, আমরা গাছ লাগাই। গাছের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলি। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটু সবুজ অরণ্য রেখে যাই। বিশ্বকে বসবাসযোগ্য করে তুলতে সাহায্য করি। প্রতি বছর পরিবেশ দিবস কেন্দ্রীক নানা আলোচনা, উদ্যোগ, পরিকল্পনার পরও বনভূমি উজাড় কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। বনের উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্রের ক্ষতি করে একের পর এক উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। অনেক বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কার মধ্যেই এগুলো করা হচ্ছে।  
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কাক্সিক্ষত পরিমাণে বনভূমি থাকা আবশ্যক। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় কাক্সিক্ষত পরিমাণে বনভূমি সৃজন কষ্টসাধ্য। বর্তমানে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ মোট ভূমির ২২.৩৭ শতাংশ এবং বনাচ্ছাদন ১৪.০১ শতাংশ। আশার কথা হলো, আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন ২৫ শতাংশে এবং বনাচ্ছাদনের পরিমাণ মোট ভূমির ১৬ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকীকে সারাদেশে ১ কোটি চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে।

অপরদিকে নিরাশার কথা হলো- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত দেশের ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫২ একর বনভূমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে। এখন দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গাছ কাটার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ড্রেন করবে তাই গাছ কাটছে, রামেক। ডালপালা ভেঙে মাথায় পড়বে তাই গাছ কাটছে, ঢাবি। ভবন নির্মাণ করবে তাই গাছ কাটছে, রুয়েট। শুধু ঢাবি, রামেক বা রুয়েট নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একইভাবে গাছ কাটার মহোৎসব চলছে। যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা ইউনিয়নে বিগত কয়েক বছর ধরে চলছে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানা। প্রশাসনের অভিযানে কিছু দিন বন্ধ থাকার পর অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আবারও চালু হয়ে যায় গাছ পুড়িয়ে কয়লা বানানোর তুঘলকি কা-। অপ্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন বন্ধ হোক। সবুজে ভরে উঠুক দেশ।

সবুুজ প্রকৃতি গড়তে আমাদের করণীয় :সবুজ প্রকৃতি ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে প্রকৃতি বাঁচাতে হবে। বনায়ন বাড়াতে হবে। সাধ্যমতো সব বয়সের মানুষের মধ্যে বৃক্ষরোপণের আগ্রহ তৈরি করতে হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বৃক্ষরোপণের জন্য তাদের মধ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচি রাখতে হবে।

আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায়-
ক. প্রতিটি শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে একটি করে ফলজ, বনজ, ঔষধী ও একটি ফুলের চারা লাগাতে উৎসাহিত করা। প্রয়োজনে এটিকে এ্যাসাইনমেন্ট বা বাড়ির কাজ হিসেবে দেয়া যেতে পারে। খ. বৃক্ষ রোপণের পর সংরক্ষণের ওপর অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া। গ. নদী ও খালের পাড়ে বৃক্ষ রোপণ করা যেতে পারে। ঘ. রাস্তার দু’পাড়ে সারিবদ্ধভাবে স্থানীয় জনপ্রশাসনের মাধ্যমে হাজার হাজার গাছ লাগানো যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন বন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে। ঙ. গাছকাটা ও পরিবেশবিরোধী আইনকে শক্তিশালী করতে হবে। গাছ ও পরিবেশকে ধ্বংসকারী সে যত বড়ই ক্ষমতাবান হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। সমাজের জন্য পরিবেশ ধ্বংসকারী ব্যক্তি বড় অপরাধী। তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না।

আসুন, বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে সমাজ পরিবেশ ও রাষ্ট্রকে সুস্থ রাখি এবং সুস্থ থাকি।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2022
Theme Customized By BreakingNews