প্রতিনিধি, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)। সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা মুল্যের মেহগনি গাছগুলো কেটে তিনি উপজেলা সদরের এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বাবর আলী নামে এক গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। আব্দুল্লাহ আল মামুন উপজেলার ৯১ খ্যাগড়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায় গত বৃহস্পতিবার ১০/১২ জন শ্রমিককে কাজে লাগিয়ে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যকার পাঁচটি বড় আকৃতির মেহগনি গাছ কাটা হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদকে না জানিয়ে এক সিদ্ধান্তে গাছগুলো কেটে গোপনে বিক্রি করেছেন প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিষয়টি চেপে যেতে তিনি স্থানীয় বিএনপির দুই প্রভাবশালী নেতার মাধ্যমে চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রায় চার দশক পুরানো পাঁচটি মেহগনি গাছ দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের বলে গ্রামবাসীর দাবি।
অভিযোগকারী বাবর আলী জানান বিদ্যালয়ের পাঁচটি গাছ কাটার ঘটনায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। এখন বিভিন্ন মাধ্যমে দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারে তাকে চাপ দেয়া হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি স্কুলের কোন গাছ বিক্রি করেননি। যে গাছ কাটার বিষয়ে বলা হচ্ছে সেটি বিদ্যালয়ের সামনের সড়কের পাশের সরকারি গাছ। বিদ্যালয় ছুটির দিন কে বা কাহারা ওই গাছ কেটে বিক্রি করেছে। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অভিযোগকারী উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন জানান লিখিত অভিযোগ এখনও তার হাতে পৌছায়নি, তবে বিষয়টি মাত্রই জানতে পারায় তিনি খোঁজ নিবেন।