1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইননের হালহকিকত - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলামের পদত্যাগ যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেলেন তারেক রহমান কোহলির ভবিষ্যদ্বাণী, বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করবে ভারত পূর্বপরিচিতের লালসার শিকার শিশু, গ্রেফতার গাড়িচালক হামাসের সঙ্গে মার্কিন বৈঠক, ক্ষুব্ধ ইসরাইল মাদারীপুরে চাঁদাবাজ সাইফুল খুন, বাঁচাতে গিয়ে দুই ভাই নিহত ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়: নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ সতর্ক বার্তা ধোপাদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন মফিজুর রহমান বাঘারপাড়ায় আগুনে পুড়ে ছাই দিনমজুরের বাড়িসহ গবাদিপশু

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইননের হালহকিকত

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩২ জন খবরটি পড়েছেন

ছবির ব্যক্তি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, সংযুক্ত ছবিগুলো সাম্প্রতিকঃ সুব্রতর নামে ৩০টিরও অধিক খুনের মামলা রয়েছে, যার প্রায় সবগুলোতেই এই সন্ত্রাসী সাজাপ্রাপ্ত, এছাড়াও অবৈধ অস্ত্র এবং চাঁদাবাজি সহ প্রায় ১০০ মামলার আসামীও তিনি। ২০০১ সালে পুরস্কার ঘোষিত এই শীর্ষ সন্ত্রাসী আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার রেড কর্ণার নোটিশ প্রাপ্ত।

প্রায় দেড় বছর আগে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য ছিলো টার্গেটেড রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে ভিন্ন পরিচয়ে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর, তৈরিও করা হচ্ছিলো সেভাবে। কিন্তু ৫ই আগষ্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে তার আশ্রয়দাতারা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাওয়ার কারণে পেশাদার এই অপরাধী সাধারণ জনগণের সাথে মিশে যায়। বর্তমানে রাজধানী ঢাকাতেই বসবাস করছে সুব্রত বাইন।

২০০১ থেকে ভারতে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইবি’র ( ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো) ছত্রছায়ায় ছিলো সুব্রত। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী তাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন উলফা, নাগাল্যান্ড লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা সহ, মোস্তাকিম চাপ কাবাব এর মালিক মোস্তাকিমকে হত্যা করিয়েছে। বিশেষ সূত্রমতে, বর্তমানে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কাজ করছে তিমোথি সুব্রত বাইন হিসেবে পরিচিত এই সন্ত্রাসী।

আগষ্ট পরবর্তী সময়ে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মতিঝিলের ইখতিয়ার (মালিবাগ সানরাইজ হোটেলে ডিবি পুলিশ হত্যা মামলার আসামী) এর মাধ্যমে সুব্রত অস্ত্র ক্রয় করেছে। থানা থেকে লুট হওয়া প্রায় ১৭টি অস্ত্র বর্তমানে তার হাতে রয়েছে। সুব্রত তার ডান হাত আরেক পুরস্কার ঘোষিত সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ(বর্তমানে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদে অবস্থানরত) এর মাধ্যমে মতিঝিল গোপীবাগের একটি ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সুব্রত বাইন সুইডেন আসলামের সাথে দেখা করে কাওরান বাজার একসাথে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারেও সমঝোতা করেছে। এছাড়াও তাকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে হাসিনার অনুগত কিছু নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা পরোক্ষ মদদ দিচ্ছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। সুব্রত গত দুদিন আগে নেপালে পলাতক বিডিআর ম্যাসাকারের সহযোগী (পরে হাসিনা নিজে তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয়ার ব্যবস্থা করে) হাজারীবাগের হারুন অর রশীদ লিটন ওরফে লেদার লিটন এবং যুবলীগের ক্যাসিনো সম্রাট (বর্তমানে কলকাতায় ও খালেদের (বর্তমানে মালেয়শিয়ায়) মাধ্যমে অস্ত্র কম মূল্যে কেনার সমঝোতা করেছে। বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে হাইভ্যালু টার্গেট এসাসিনেশনের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে এই সন্ত্রাসী।

উল্লেখ্য বিডিআর হত্যাকান্ডের প্রথমদিন ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সাবেক বিডিআর সদস্য তোরাব আলীর মোবাইল থেকে যে ১১টি কল ভারতে করা হয়েছিলো তার ৫টি কলই ছিলো সুব্রত বায়েনের কলকাতার মোবাইল নম্বরে। লেদার লিটন আপডেট দিচ্ছিলো সুব্রত বায়েন’কে।

ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তা শৈবাল রায় চৌধুরী ২০০১-২০০৫

এবং সমীর কুমার দিক্ষিত ২০০৫-২০১০ একসময় সুব্রত বাইনের হ্যান্ডলার ছিলো বলে দাবি করেছে বিশেষ একটি সূত্র। এই সমীর কুমার দিক্ষিত বিডিআর ঘটনার পরিচালনাকারীদের অন্যতম বলেও সূত্র উল্লেখ করেছে। এদের দুজনের সাথেই রয়েছে সুব্রত বাইনের নিয়মিত যোগাযোগ। মূলত মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুভাষ চন্দ্র সরকারের মাধ্যমে সুব্রতর সাথে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংযোগ স্থাপিত হয়। সুভাষ চন্দ্র সরকারকে বাংলাদেশে ভারতীয় র’এর গুরুত্বপূর্ণ এসেট হিসেবে বিবেচনা করে বিশেষ সংস্থা।

এই সুভাষ সরকার আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এর প্রকারের গুরু, জানা যায় সুভাষ সরকারের কারণেই ভারতীয় প্রভাবে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বহাল থাকেন। এছাড়াও সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সমস্ত ভারতীয় যোগাযোগ এই সুভাষ রক্ষা করতো। বিশেষ করে আজিজের ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী হারিছ আহমেদের ভারতে অবস্থান ও সুবিধাদি সুভাষের মাধ্যমে রক্ষা করা হতো। কলকাতায় সুব্রত, হারিছ, মোল্লা মাসুদ, হান্নান(লিয়াকতের ছোট ভাই)সহ অনেকের লোকাল অভিভাবক ছিলেন গৌর গোপাল সাহা, যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই ভারতীয় বলয় চক্র বহু ডালপালার অধিকারী।

সুভাষ সরকার ডিসেম্বর ২০২৪ এ গ্রেফতারের আগে সুব্রত বাইনের সাথে যোগাযোগ করে, শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ ও হারিছের মোহাম্মদপুরের সাম্রাজ্য বাইনের কাছে দিতে চেয়েছিলেন যাতে সেখানে ইমন বা পিচ্চি হেলাল আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে। কিন্তু ওই ফোন মিটিংয়ের আগেই সুভাষ সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। জুলকারনাইন শাইরের ফেসবুক পোষ্ট থেকে নেয়া

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews