ডেস্ক নিউজ।
বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের নবনির্মিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের কোনো সমুদ্রবন্দর নেই, তাই বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে তারা উপকৃত হতে পারে। তিনি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিন প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) তথ্য অনুযায়ী, বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ ৯৫% সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি অংশ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। চালু হলে প্রতিদিন ৪০-৫০টি উড়োজাহাজ ওঠানামা করতে পারবে।
এরপর তিনি খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পের ৮২% কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি শেষ হবে।
বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের একটি সমুদ্র আছে, যা আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য আরও সম্ভাবনা তৈরি করে। চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় নতুন বন্দর নির্মাণের সুযোগ রয়েছে, যা অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করবে।”
তিনি আরও জানান, কক্সবাজারের লবণ উৎপাদন এখন রপ্তানিযোগ্য মানের হয়েছে এবং বিদেশি আমদানিকারকদের আগ্রহ সম্পর্কে জানতে তিনি স্থানীয় লবণ উৎপাদনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এছাড়া, কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়েও খোঁজ নেন তিনি। তিনি বলেন, “বায়ুশক্তি বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত, বিশেষ করে কক্সবাজারের মতো এলাকায় যেখানে বাতাসের গতি উপযুক্ত।”
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের প্রভাব সম্পর্কে জানতে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি কক্সবাজারকে ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তির শহর হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং স্থানীয় জনগণকে এই সুযোগগুলো কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন।