ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে অবশেষে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে রাত ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাইবুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
ড. আসিফ নজরুল আরও জানান, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র দ্রুত জারি করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকাকালে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বলপ্রয়োগের অভিযোগ ওঠে দলটির বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। সম্প্রতি সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের পর এই দাবি আরও জোরালো হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার এই পদক্ষেপ নিলো।
এদিকে, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে প্রকাশের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।