ডেস্ক নিউজ।
২০২৭ সাল থেকে মাধ্যমিকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রথম বছরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এটি প্রয়োগ করা হবে, পরে পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৪ জুন) বিকালে মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম।
বর্তমানে মাধ্যমিকে ২০১২ সালের পুরনো শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে, যা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুনর্বহাল করা হয়। এর আগে ২০২৪ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালুর পরিকল্পনা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। তবে প্রাথমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম কার্যকর রয়েছে এবং আগামী বছর তার আলোকে পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যদি নতুন স্বপ্ন দেখি, সেখানে প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তি, দায় ও ইনসাফের বিষয়গুলো থাকতে হবে। এজন্য মুক্তচিন্তার প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতের শিক্ষাক্রম নির্মাণে জাতীয় ঐকমত্য গঠন গুরুত্বপূর্ণ।
মাধ্যমিক পর্যায়ে একসঙ্গে সব শ্রেণিতে পরিবর্তন আনার পরিবর্তে ধাপে ধাপে বাস্তবায়নকেই বেশি যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা। মাউশি সচিব জানান, ২০২৭ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, পরিমার্জিত পাঠ্যবই প্রস্তুতের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কলেজ পর্যায়ে শিক্ষক বদলি অনলাইনে শুরু হবে। একই আদলে কিছু মাসের মধ্যেই বিদ্যালয় পর্যায়েও এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
এছাড়া বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ-সুবিধার জন্য সরকার ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড এবং ২০০ কোটি টাকা নগদ বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।