শুক্রবার সকালে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক আওয়ামীলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এসময় আরোও এক ব্যাক্তি আহত হয়েছেন।
নিহত নিহত ফরিদ সরদার (৪৫) সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কালা মিয়ার ছেলে এবং ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি।
আহত হয়েছেন একই এলাকার চান মিয়া (৩৫)।
নিহতের ছেলে জাকের জানান, সকালে তার বাবা বন্ধু চান মিয়াকে নিয়ে স্থানীয় বাংলাবাজারে ইরি ধান ক্রয় করতে যান। বাংলাবাজার থেকে তিনি মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়িতে আসার পথে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ইসমাইল মেম্বারের বাড়ির সামনে পৌঁছলে সেখানে ওতপেতে থাকা মহিউদ্দিন চেয়ারম্যানের লোকজন বাবাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মাথায় কুপিয়ে এবং পায়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করে। বাবা নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের ভোট করায় মহিউদ্দিন চেয়ারম্যানের লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
পুলিশ জানায়, নিহত ফরিদ সরদার স্থানীয় বনদস্যু নোব্বা চোরা হত্যা মামলার আসামি। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতেই মৃত নোব্বা চোরার তৃতীয় সংসারের ছেলে সোহাগ, আকবরসহ ১০-১৫ জন ফরিদকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মাথায় কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পায়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চরজব্বার থানার ওসি মো. জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।