নিখোঁজের তিনদিন পরে ইজিবাইক চালক আল আমিন হোসেনের (২২ ) মরদেহ বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর সড়কের পাশ থেকে থেকে উদ্ধার করেছে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ।
নিহত আল আমিন মাগুরা জেলার শালিখা থানার শতখালী ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ওই গ্রামের নওশের আলীর স্ত্রী শাহিনা বেগম মরদেহ টি দেখে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন । পরে তারা বিষয় টি থানা পুলিশ কে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। শাহিনা বেগম বলেন, সকালে খড়ি কুড়াতে এসে দেখি সড়কের পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিই তখন আশেপাশের লোকজন আসে এবং থানায় খবর দেয়।
আল আমিনের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (৯ডিসেম্বর) ইজিবাইক নিয়ে সে শালিখা বাজার থেকে ভাড়া নিয়ে বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেল বাড়িয়ায় গিয়ে আর ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করে তাকে কোথাও না পেয়ে শালিখা ও বাঘারপাড়া পুলিশকে জানান। পরিবারের লোকেরা জানান,তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সেটির সুইচ অফ দেখায়।
নিহতের পিতা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আলামিনই তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনের ভরসা ছিলেন। সে ছাড়া আমার আর দুটি মেয়ে রয়েছে। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ইজিবাইক নিইয়ে গেছে নিক, আমার ছেলেরে মারলো কেন।
আলামিনের মা রেখা বেগম বলেন , আমার ছেলেকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের করে বলেন, আলামিনের সৎমা হালিমা বেগম জমিজমা সব নেওয়া জন্য আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন আমার ছেলে ইজিবাইকসহ নিখোজ হয়েছিল। কিন্তু নিঁখোজের পরে গতকাল ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২ টায় যশোর চাঁচড়া পুলিশ ফাড়ির পাশে ইজিবাইক পাওয়া যায় । আলামিনের সৎমার বাপের বাড়ি চাঁচড়ার পুলির হাট।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন জানান, নিখোঁজের বিষয়ে নিহতের পরিবার গতকাল শুক্রবার রাতে বাঘারপাড়া থানায় অভিযোগ করেন। সকালে লাশ পাওয়ার পর তাঁর পরিবারের উপস্থিতিতে লাশটি শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতের মাথায় জখমের চিহ্ন ও গলায় গামছা পেছানো রয়েছে।