1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
নাগেশ্বরীতে কাজে আসছে না ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কালভার্ট - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

নাগেশ্বরীতে কাজে আসছে না ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কালভার্ট

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৫৯ জন খবরটি পড়েছেন
নাগেশ্বরীতে কাজে আসছে না ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কালভার্ট

এ আর রাকিবুল হাসান, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় অপরিকল্পিতভাবে একটি কালভার্ট বক্স তৈরি করে সরকারের ৩৫ লাখ টাকার অপচয় করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কচাকাটা থানা টু মুড়িয়ারহাটগামী রাস্তার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লুছনি গ্রামে কালভার্টটি অবস্থিত।

স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারের টাকা অপচয় করে যে কালভার্ট করা হয়েছে তা জনগণের কোনো উপকারিতায় আসবে না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দে ৯ মিটার (২৭ ফুট) ৪ অনুপাত ৪ ধরণের বক্স কালভার্টটির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। গত বছর জুন মাসে বক্স কালভার্টটি নির্মাণ কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

নির্মাণ কাজ শুরুর আগেই ওই কালভার্টের উত্তর দিকের জমিতে মাটি ভরাট করে ৩টি বসত বাড়ি তোলেন ফজর আলী, নাসির উদ্দিন ও লাল চান মিয়া। ফলে কাজ শুরুর আগেই কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ বন্ধ হয়ে যায়। অপর দিকে পানি বের হওয়ার জন্য পাশের জমি দিয়ে সরু একটি নালা কালভার্টের মুখে সংযোগ দেওয়া হয়। সেই জমির মালিক আব্দুল খালেক বাড়ি তোলার জমিতে মাটি ফেলে ভরাট করেছেন। এতে করে নালার মুখ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পরেছে। ফলে সেই কালভার্ট দিয়ে এক প্রান্ত বন্ধ থাকায় একফোঁটা পানি গড়ানোর কোনো উপায় নেই। দেখে মনে হবে বাড়ির উঠানে দেওয়া হয়েছে কালভার্ট।

নির্মাণের সময়ে এলাকাবাসী এবং বাড়ির মালিক কালভার্টটি সরিয়ে অন্যত্র নির্মাণ করতে অনুরোধ করলেও বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি উপজেলা প্রশাসন।

বাড়ির মালিকদের ফজর আলী বলেন, ২০১৭ সালে বন্যায় তাদের বাড়ি দুধকুমার নদের ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায়। ওই বছর এই জমিতে মাটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি নেন তিনি। পরের বছর আমরা বাড়ি নির্মাণ করি। কিন্তু হঠাৎ করে একদিন কালভার্টের কাজ শুরু হয়। আমরা কালভার্টটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বললেও কাজ হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, কালভার্ট নির্মাণের আগেই বাড়ি উঠেছে। আমরা কালভার্টটি পূর্ব দিকে সরিয়ে নির্মাণ করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা বলেছে যেখানকার নকশা হয়েছে সেখানেই নির্মাণ করতে হবে। অপরিকল্পিত এবং দায়সারাভাবে কালভার্ট করায় সরকারের লাখ লাখ টাকা অপচয় হয়েছে।

সাবেক ইউপি সদস্য আলমাস উদ্দিন বলেন, এই কালভার্ট মানুষের কোনো কাজে লাগবে না। বাড়ির উঠানে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সরকারের টাকা নষ্ট হয়েছে। কালভার্ট নির্মাণ শেষ হলেও সেখানে রং এবং ফলক লাগানো হয়নি।

বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে বক্স কালভার্টটি নির্মাণের নকশা প্রস্তুত করা হয়। ২০১৮ সালে সেটির টেন্ডার হয়। নকশা করার সময় ওই জায়গায় কোনো বাড়ি ছিল না।

কালভার্টটি নির্মাণকালে তদারকির দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২০২০ সালে তিনি নাগেশ্বরীতে যোগদান করেছেন। তিনি যোগদানের আগেই কালভার্টটির ভীতের কাজ শেষ হয়েছে। তখন আর কিছু করার ছিল না। ফলে সেখানেই কাজ শেষ করতে হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী ওয়াসিম আতাহার জানান, খাল ভরাট করে কালভার্টটির পানি বের হওয়া পথ বন্ধ করার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews