মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
প্রায় ৪০০ কিমিঃ পথ পাড়ি দিয়ে ভারত থেকে বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা এখন বাংলাদেশের সুন্দরবন তীরবর্তী বলেশ্বর নদে। কচ্ছপটি ভারতীয় ভূখন্ডের ( সুন্দরবনের) চানতা নামক স্থান থেকে ছেড়ে দেয়ার পর ২০ দিনের মাথায় সুন্দরবন উপকুলীয় বাগেরহাটের শরনখোলার বলেশ্বর নদে এসে পৌছায়।
কচ্ছপটির পিঠে বসানো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার (জিপিএস) ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে এর অবস্থান চিহ্নিত করেন গবেষকরা। ভারতীয় টাইগার রিজার্ভ প্রজেক্ট পরিচালিত এ রিসার্স প্রোজেক্টের এ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড ডিরেক্টর সৌমেন মন্ডল মুঠোফোনে জানান, বিলুপ্ত প্রায় প্রানী নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের গবেষনা সংস্থা টার্টল সারভাইবাল এলায়েন্সের( টিএসএ) মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের সুন্দরবন বিভাগ বাটাগুর বাসকা সংরক্ষন ও এদের জীবন আচরন সম্পর্কে রিসার্স করার উদ্দেশ্যে এ প্রজাতির ১০ টি কচ্ছপ একযোগে অবমুক্ত করা হয়। প্রতিটি কচ্ছপের ওজন ৮/১০ কেজি।
তিনি আরও জানান,গত ১৯ জানুয়ারী ভারতের চানতা নামক স্থান থেকে এক যোগে মিঠা পানির এ কচ্ছপ গুলি ছেড়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে দুটি কচ্ছপ প্রায় ২০০ কিমিঃ পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে।
এদের মধ্যে একটি বঙ্গোপসাগরের ফেয়ার বয়া এলাকায় এসে জিপিএস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অপরটি সুন্দরবনের পথ ধরে শরনখোলার বলেশ্বর নদে চলে আসে।
কচ্ছপটির পিঠে ৬২৯৬০৫২৪ সংখ্যার মোবাইল নম্বর যুক্ত আছে। জেলে সহ অন্য কারো হাতে ধরা পড়লে এর ক্ষতি না করে উল্লেখিত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।
পুর্ব সুন্দরবন বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ সামসুল আরেফিন, মোবাইল নম্বর ও জিপিএস সংযুক্ত কচ্ছপটি কারো হাতে পড়লে এটিকে বন বিভাগকে অবহিত করার অনুরোধ জানান। এ সময় তিনি জেলেদেরকে সতর্কতার সাথে নদীতে জাল ফেলার অনুরোধ করেন।