শনিবার সিআইডির সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ফার্মেসির ভেতরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জোৎস্নাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফল কাটার ছুরি দিয়ে মরদেহ ছয় টুকরা করা হয়। শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানার নুরেরচালা থেকে মূলহোতা জিতেশ চন্দ্র গোপকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর থানার পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনজিৎ চন্দ্র গোপ ও অসীত চন্দ্র গোপকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জোৎস্না কিছুদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সমস্যার কথা স্থানীয় ফার্মেসি মালিক জিতেশকে জানালে তিনি তাকে ফার্মেসিতে যেতে বলেন। জোৎস্না ১৬ ফেব্রুয়ারি ফার্মেসিতে গেলে জিতেশ দোকানে কাস্টমার রয়েছে বলে অপেক্ষা করতে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। রাত গভীর হলে জোসনার বাসায় যাওয়ার অস্থিরতা বেড়ে যায়। তখন ওই ফার্মেসির মধ্যে জোৎস্নাকে একটি ঘুমের ওষুধ খেতে দেয় জিতেশ। এতে জোৎস্না তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। আশেপাশের দোকান বন্ধ হয়ে গেলো জিতেশ ও তার দুই সহযোগী এনার্জি ড্রিংকস পান করে জোৎস্নাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে জোৎস্নাকে হত্যা করে।
মুক্তা বলেন, ওষুধের কার্টন দিয়ে খণ্ডিত অংশগুলো ঢেকে রেখে ফার্মেসি তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই মরদেহের খণ্ডিত অংশ পাশের একটি মাছের খামারে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়ায় ও লোকজন চলে আসায় তারা সেই কাজটি করতে পারেনি।