মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরের শিবচর হোগলার মাঠ গ্রামে চাচা জামাল বেপারীর দায়ের কোপে ভাতিজি আয়শা আক্তার ( ১০ মাস) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। পুলিশ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছেন।
পারিবারিক, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের হোগলার মাঠ গ্রামে সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে জামাল বেপারী (২০) বাড়ির উঠোনে বসে বাঁশের চটি কাটছিল। ওই সময় শিশু আয়শা ওইখান দিয়ে হাটাহাটি করছিল। তখন জামাল বেপারীর হাতের দায়ের কোপ লাগে আয়শার কপালে। গুরুতর আহত আয়শাকে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছেন।
নিহত আয়শা আক্তার শিবচর উপজেলার হোগলার মাঠ গ্রামের আলেম বেপারীর মেয়ে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত জামাল বেপারী তার বড় ভাই আলেম বেপারীর কাছে টাকা পান। ওই পাওনা টাকা নিয়ে ভাবী আখি আক্তারের সাথে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া বাঁধে। এ সময় জামাল বেপারী উত্তেজিত হয়ে তার হাতে থাকা দা দিয়ে ভাবীকে আঘাত করে। সেই দায়ের কোপ লাগে শিশু আয়শা আক্তারের কপালে।
নিহতের মা আখি আক্তার জানান, জামাল বেপারী ধারালো দা দিয়ে বাশের চটি কাটছিলো। ওই সময় আমার মেয়ে আয়শা ওইখান দিয়ে হাটাহাটি করছিল। আমার দেবর নিহতের (চাচা) জামাল বেপারীর হাতের দায়ের কোপ লাগে আয়শার কপালে। সেই কোপে গুরুতর আহত হয় আয়শা। তাকে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে আমার মেয়ে আয়শা মারা যায়।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মিরাজ হোসেন জানান, জামাল বেপারীর হাতে থাকা দায়ের আঘাতে শিশু আয়শা আক্তার গুরুতর আহত হন। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায় শিশু আয়শা। মঙ্গলবার সকালে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছি। ঘটনার পর থেকে নিহতের চাচা জামাল বেপারী পলাতক আছে। তাকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।