মণিরামপুর প্রতিনিধি।।
মণিরামপুরে নিখোঁজের ৪ দিনের মাথায় কলেজছাত্র ইকরামুল হোসেনের (১৮) বস্তাবন্দী অবস্থায় পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মদনপুর মাঠের নিমতলা নামকস্থানের একটি ডোবা খুঁচে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইকরামুল হোসেন উপজেলার মশ্মিমনগরের ভরতপুর গ্রামের প্রবাসী মফিজুর রহমানের ছেলে এবং রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
এ ঘটনায় বুধবার (৩০ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে পুলিশ ভরতপুর গ্রাম থেকে ৩ জনকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে ইকরামুলের মরদেহ উদ্ধার হয়। এরা সবাই নিহত ইকরামুলের প্রতিবেশী।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- আমিনুর রহমান (২০ ) ও কামরুল হাসান( ১৮ ) । এরা দুজন ভরতপুর গ্রামের হোসেন আলী মোড়লের ছেলে এবং একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মেহেদী হাসান (২০ ) ।
জানা গেছে, গত সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ওয়াজ মাহফিল শোনার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ইকরামুল।
আমিনুর উচ্চ শিক্ষিত বেকার। তার ভাই কামরুল কুয়েত প্রবাসী। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে এসেছেন। আর মেহেদী প্যারামেডিকেলের ছাত্র।
নিহতের স্বজনদের দাবি, কেরাম খেলা নিয়ে আমিনুরের সাথে দ্বন্দ্বে আটক তিনজন মিলে ইকরামুলকে খুন করেছে। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, প্রবাসীদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড।
ইকরামুলের চাচা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, মশ্মিমনগর এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশে গত সোমবার সন্ধ্যার আগে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন ইকরামুল। এরপর রাত নয়টা থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আমরা থানায় আসি। পুলিশের পরামর্শে বুধবার সকালে যশোরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে যাই। তারা মণিরামপুর থানায় জিডি করতে বলেন। থানায় জিডি করার পর দুপুরে আবার যশোরে যাই। এরপর রাত একটার দিকে পুলিশ বাড়ি থেকে প্রথমে আমিনুরকে আটক করে। পরে কামরুল ও মেহেদীকে আটক করে তিনজনকে নিয়ে যায়।