1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
লোডশেডিংএ চরম বৈশম্যের শিকার শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

লোডশেডিংএ চরম বৈশম্যের শিকার শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২
  • ১৪২ জন খবরটি পড়েছেন

মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ বাগেরহাট প্রতিনিধি।।

জ্বালানী সাশ্রয়ে সরকার ঘোষিত সিডিউল মাফিক লোডশেডিংএ চরম বৈশম্যের শিকার হচ্ছে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা। প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার বিভিন্ন সময় ১৬ থেকে ১৭ঘন্টাই লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।  এরমধ্যে দিনে ৪/৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ দেয়া হলেও রাতে দেয়া হয় মাত্র এক থেকে দুই ঘন্টা। ফলে তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠছে। অপরদিকে বরফকল গুলোতে বরফ জমতে না পারায় সাগরে যেতে পারছে না ফিসিং ট্রলার।

খোঁজনিয়ে জানা গেছে, বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে গড় হিসাবে বাগেরহাট সদরে দুই ঘন্টা, মোংলায় এক ঘন্টা, রামপালে দুই ঘন্টা, ফকিরহাটে তিন ঘন্টা, মোল্লাহাটে তিন ঘন্টা, চিতলমারিতে দুই ঘন্টা, কচুয়ায় তিন ঘন্টা। কিন্তু শরণখোলা ও মোরেলগজ্ঞ উপজেলায় গড়ে ১৭ ঘন্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। লোডশেডিংএ এমন চরম বৈশম্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুতের লোডশেডিং দেয়ার দাবী জানান তারা। 

শরণখোলার সিনিয়র সাংবাদিক শেখ মোহাাম্মদ আলী বলেন, জ্বালানী সাশ্রয়ে সরকারের দেয়া সিদ্ধান্তকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু বৈশম্যমূলক লোডশেডিং করায় মনে হচ্ছে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে বিদ্যুৎ বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা।

মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মেহেদী হাসান লিপন জানান, জাতীয় গ্রীডের অযুহাত দিয়ে আমাদের এই দুই উপজেলায় সিডিউলের চেয়ে অতিরিক্ত লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।

রায়েন্দা হাট বাজার ব্যাবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুল বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ৮টার মধ্যে আমরা দোকান বন্ধ করি। কিন্তু এরপর সারারাত বিদ্যুৎ না থাকার কারনে গরমে কেউ ঘুমাতে পারে না। যার কারনে দিনেও ব্যাবসায়ীরা ঠিক মতো দোকান চালাতে পারছে না। মেঘা বরফ কলের মালিক মোঃ গোলাম মোস্তফা তালুকদার বলেন, দিনে কিছুটা বরফ জমা হলেও রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় তা আবার গলে যায়। শরণখোলা মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আঃ রহিম হাওলাদার জানান, বরফের অভাবে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারছে না। 

শরনখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্তা বলেন, এতো বেশী লোডশেডিং দেশের অন্য কোথাও দেয়া হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। বিষয়টি জেলা সমন্বয় সভায় উপাস্থাপন করা হবে। এভাবে লোডশেডিং দেয়া হলে সরকারের এতো উন্নয়ন সব ম্নান হয়ে যাবে।

এ ব্যপারে শরণখোলা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির সহকারি জেনারেল ম্যানেজার আশিক মাহামুদ সুমন জানান, আমাদের এখানে দিনে ৭ মেঘাওয়াট ও রাতে ১০ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও বাগেরহাট গ্রীড থেকে দেয়া হচ্ছে মাত্র তিন থেকে চার মেঘাওয়াট। তাই সেই হিসাবে লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। 

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews