বিলাল মাহিনী, যশোর।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার কোনো মাদরাসার নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা এখনও পাইনি নতুন বই। হতাশায় সময় পার করছে বই না পাওয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
বেশিরভাগ মাদ্রাসার শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন গত বছরের পুরাতন বই দিয়ে।আবার কোথাও কোথাও কোন ক্লাস হচ্ছে না , শিক্ষার্থী উপস্থিতি নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে। তাতে শিক্ষার্থী,শিক্ষক ও অবিভাবক সকলেই রয়েছে সংকটে। কবে আসবে বই? শিক্ষার্থীরা কি ভাবে শেষ করবে সিলেবাস এটা নিয়ে রিতিমত মাথায় হাত সকলের। নতুন বই হাতে পাওয়ার আনন্দ এবার ম্লান অভয়নগরের দাখির নবম শ্রেনীর সকল শিক্ষার্থীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার ভৈরব উত্তর পূর্বাঞ্চলের হিদিয়া আলিম মাদ্রাসা, বাশুয়াড়ী আলিম মাদ্রাসা, নাউলি সম্মিলনী দাখিল মাদ্রাসা, সিদ্ধিপাশা দাখিল মাদ্রাসা, সিংগাড়ী দাখিল মাদ্রাসা,পাথালিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা, গাজিপুর রউফিয়া কামিল মাদরাসাসহ সকল মাদররাসার প্রায় ৫ শতাধিক দাখিল নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা এখনও হাতে নতুন বছরের নতুন কোন বই পাইনি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে তাদের শিক্ষা জীবন, হারিয়ে ফেলছে লেখাপড়ার নতুন উদ্যাম। ছেলে মেয়েরা বই না পাওয়াতে চরম হতাশায় অভিভাবক মহল।
হিদিয়া আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সিদ্ধিকুর রহমান জানিয়েছেন, তার মাদ্রাসার দাখিল নবম শ্রেণীর কোন শিক্ষার্থী এখন কোন বই পাইনি। তাছাড়া ১ম শ্রেনীর বাংলা ইংরেজি,২য় শ্রেনীর বাংলা, গণিত, ইংরেজি বই ও কোন শিক্ষার্থী পাইনি।
নাউলি গোপিনাথপুর মিলনী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আঃ রশিদ জানিয়েছেন ৩৫ জন শিক্ষার্থী তার মাদ্রাসায় তবে এখনো দাখিল নবম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী কোনো নতুন বই পাইনি।
পাথালিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, তার মাদ্রাসায় দাখিল নবম শ্রেনীতে ২৫ জন শিক্ষার্থী তবে এখনো কোনো বই প্রতিষ্ঠানে যায়নি। এদিকে মরিচা ভবানিপুর চাকই দাখিল মাদ্রাসার অবস্থাও একই।
সিংগাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় দাখিল নবম শ্রেনীর ক্লাস হচ্ছে পুরাতন বছরের বই দিয়ে। শংকরপাশা কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায়ও নবম শ্রেনীতে এখনো কোন বই পাইনি, তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান জানিয়েছেন পুরাতন বই দিয়েই চলছে পাঠ দান।
বই না আসার বিষয়ে গাজীপুর রউফিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওয়াদুদ জানালেন মাদ্রাসার নবম শ্রেনির শিক্ষার্থীরা এখন কোনো বই পাইনি।
সচেতন মহল মনে করছে, এখন পর্যন্ত নতুন বই হাতে না পাওয়া শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার কারন হতে পারে। অনুসন্ধানে জানাগেছে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দাখিল নবম শ্রেনীর হাজিরা অর্ধেকে নেমে এসেছে। নিয়মিত পাঠ্যবইয়ের লেখাপড়া ছাড়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা তেমন মন দিয়ে হচ্ছে না জালালেন অভিবাভক মহল। নিয়মিত মাদ্রাসায় আসা, লেখাপড়া ঠিকমত করা শিক্ষার্থীদের অভ্যাস হলেও নতুন বই হাতে না পাওয়ায় ভাটা পড়ছে তাতে। সচেতন মহল দাবী করছে দ্রুত নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে না পারলে ঝরে যেতে পারে অনেক শিক্ষার্থী। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের জরুরী তদারকির দরকার বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। আশু সমস্যার সমাধান প্রয়োজন, অন্যথায় বিপাকে পড়বে শিক্ষা।