প্রতিনিধি, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)।
শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ (আংশিক) নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শ্যামনগর উপজেলা আ’লীগের প্রার্থী এসএম আতাউল হক দোলন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনএম দলীয় নোঙর প্রতীকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজাকে প্রায় এক লাখ দুই হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন।
শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফল সাতক্ষীরা-৪ আসনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৮৭ হাজার দুইশ ৩৫। দুই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্ত জাবিনুল আলম ও দীপংকর দাশ জানান সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনের ১৪৩ টি কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৫। বিপরীতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিএনএম প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজার মোট প্রাপ্ত ভোট ৩৮ হাজার ৮৮।
এবারের নির্বাচনে মোট আট জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও আওয়ামীলীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী মাসুদা খানম মেধা তার মনোয়ন প্রত্যাহার করেন। শেষ পর্যন্ত জাপা(এ), তৃণমুল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, পিএনপিপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ নৌকা এবং নোঙরের দুই নেতা চুড়ান্ত প্রতিদ্ব›দ্বীতায় অবতীর্ন হন। প্রতিদ্ব›দ্বী অপর প্রার্থীদের মধ্যে তৃণমুল বিএনপির আসলাম আল মেহেদীর প্রাপ্ত ভোট ৫০৯, জাতীয় পার্টি(এ) মাহাবুবর রহমান ৩ হাজার তিনশ ৩৯, স্বতন্ত্র মিজানুর রহমান ৫৭৮, বাংলাদেশ কংগ্রেসের সফিকুল ইসলাম এক হাজার তিনশ ৩২ ও এনপিপির শেখ একরামুল চারশ ৯৩।
সরেজিমনে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় সকাল থেকে নৌকা, কাঁচি ও নোঙর প্রতীকের এজেন্ট থাকলেও দুপুরের পর শুধুমাত্র নৌকার এজেন্টদের দেখা মেলে। যদিও তুণমুল বিএনপিসহ পিএনপিপি ও বাংলাদেশ কংগ্রেস দলীয় প্রার্থী নিয়োগকৃত এজেন্টরা হুমকির কারনে কেন্দ্রে যায়নি বলে জানান। এছাড়া জাপা প্রার্থী মাহাবুবর রহমান জানান যে দলীয় সিদ্ধান্তে হতাশ ছিলেন বিধায় তিনি কোথাও এজেন্ট দেয়ার চেষ্টা করেননি।
উল্লেখ্য সাতক্ষীরা-৪ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৪২ হাজার একশ ৯৩। যার মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মোট ভোটার দুই লাখ ৮৪ হাজার তিনশ ৫৮ এবং কালিগঞ্জের আট ইউনিয়নের ভোটার এক লাখ ৫৭ হাজার আটশ ৩৫।